প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩, ৯:৩১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ সহ পুলিশ,বিএনপির নেতাকর্মী ও ৬ জন সাংবাদিক সহ দুইশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তার মধ্যে গুলিবিদ্ধ ২০ জন। এ মঙ্গলবার বিকালে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের ইসলামপুর রোডের মাথায় এ ঘটনা ঘটে।এ দিকে বিকাল ৫ টার সময় কিছু সন্ত্রাসী জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ফেনী প্রেস ক্লাবে হামলা চালাই। এতে ফেনী প্রেস ক্লাবের দরজা জনালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের নেতৃত্বে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী শহরের ট্রাংক রোড়স্থ দাউদপুর ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি দাউদপুল থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবার কথা থাকলে ও পুলিশ ট্রাংক রোডের খাজুর চত্বর পশ্চিম দিকে শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার দিকে ফিরিয়ে দেয়। পদযাত্রাটি ট্রাংক রোড প্রদক্ষিণ করে ইসলামপুর রোডের মাথায় পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অন্তত ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা কর্মী গুলিবিদ্ধ ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন বলেন, পদযাত্রা নিয়ে ইসলামপুর এলাকায় যাওয়ার পর হঠাৎ আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নেতাকর্মীরাও ক্ষেপে ওঠে। সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ নিরাপত্তার জন্য ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের বিক্ষোভ মিছিল বাশ পাড়া মোড়ে মিছিলের উপর বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ককলেট বিস্ফোরণ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তখন ছাত্রলীগ যুবলীগের বেশ কয়েক জন কর্মী আহত হয়।
ফেনীতে পুলিশ, বিএনপির আওয়ামী লীগ, সংঘর্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে আহত সাংবাদিক আবু তাহের ভূঁইয়া, নাজমুল হক শামীম, তোফায়েল নিলয়, রাসেল, দুলাল তালুকদার, মামুন সহ সকলের সুস্থ্যতা কামনা করছি। সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে গালাগালি, সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।