দক্ষিণবঙ্গের আরেক পি কে হালদার সিভিল সার্জন ডা. কবির হাসান
দলিল যার জমি তার এই আইন কি শুধুই মুখে নাকি সরকার এই আইন বাস্তবায়ন করবে? এই প্রশ্ন পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এক অসহায় পরিবারের! ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা: এস এম কবির হাসান নিজ এলাকায় কর্মরত হওয়ায় তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে ব্যবহার করে এলাকায় চালাচ্ছে সন্ত্রাসী রাজত্ব, এককথায় (জোর যার মুল্লুক তার) এরাই চালাচ্ছে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ।
ভুক্তভোগী এসএম ফারুক সিকদার, পিতা. মোহাম্মদ আলী ওরফে মো: হানিফ শিকদার সাং: বাঁশবাড়িয়া, দাড়িয়াবাদ, ইউপি: কলাগাছিয়া, থানা: গলাচিপা, জেলা: পটুয়াখালী, দুমোঠো ফোনে জানান যে, বিবাদীরা আমার নিম্নবর্ণিত তফসিলভুক্ত কবলা নামজাড়ীকৃত জমি জোরপূর্বক দখল করার উদ্দেশ্য ২০/২৫জন ভাড়া করা সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে ধান কাটে এবং ডাল বুনে। বিবাদীরা ভূমিদস্যু এবং সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। বিবাদীরা আইন কানুন কোনো তোয়াক্কা করে না এবং এলাকার সালিশ মীমাংসা মানে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘবছর যাবত প্রায় ৪০বছর পূর্বের বাদীর সাবকবলাকৃত ভোগ দখলীয় সম্পত্তি বেদখল করিবার পায়তারা করিতেছে। উক্ত বিরোধের জের ধরিয়া বিবাদীদের সহিত বাদীর বিরোধ চলিয়া আসিতেছে।পটুয়াখালী সিভিল সার্জন নিজ জেলায় হওয়াতে সে ও তাঁর আপন ভাই, চাচাতো ভাই, ভগ্নিপতি এবং আত্নীয়স্বজন মাধ্যমে চালাচ্ছে কবলাকৃত, রেকডীয় জমি দখল, ধান কাটা ও মারামারি।
সিভিল সার্জন ডা: এস এম কবির হাসান এলাকায় গড়ে তুলেছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী, তাদের দ্বারা চালাচ্ছে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ। গড়ে তুলেছে অর্থের পাহাড়, গ্রামে তুলেছে সম্পূর্ন পাথরবেষ্ঠিত ০৪(চার) তলা ভবন, যার ব্যয় প্রায় ০৮/১০ কোটি টাকা এবং চারুছিপাই বাজারে অন্যদের জমি/ভূমি দখল করে গড়ে তুলতেছে ৫তলা বিশিষ্ট মার্কেট ভবন যার মূল্য প্রায় ২৫/৩০ কোটি টাকা। জবর দখল করার উদ্দেশ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থের দাপটে সিভিল সার্জন হিসেবে নিজ জেলা পটুয়াখালীতে পোস্টিং নেয়। ডা: এস এম কবির হাসান, সিএসও, (প্রকল্প পরিচালক, ইনমাস ময়মনসিং ও চট্টগ্রামে সাইক্লোটন ও পেট সিটি স্থাপন প্রকল্প) প্রকল্পের এবং পরমানু শক্তি কমিশনে পরমানু গবেষণা নামে সরকারি অর্থ লুট করে হাজার হাজার কোটি টাকা অর্জন করে, টাকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং ঢাকা কামরাঙ্গী চরে “ডলপিন হাসপাতাল” নামে গরে তুলেছে ১০(দশ) তলা বিশিষ্ঠ ভবন, যার মূল্য প্রায় শত শত কোটি টাকা। এ যেন দক্ষিণ বঙ্গের আরেক পি.কে হালদার।
সরকারি কর্মকর্তার পক্ষে এত অর্থের যোগান কিভাবে হয়েছে, তা নিয়ে জনমনের প্রশ্ন রয়েই গেছে। আরও লোক মুখে শোনা যাচ্ছে গ্রামে তার ভগ্নীপতি, আত্মীয়স্বজনের নামে জমি/ভূমি এবং আজিমপুর, শেওড়াপাড়া, বসুন্ধারাসহ ঢাকাতে ১০-১২টি ফ্ল্যাট এবং বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে প্লট ও বাড়ি রয়েছে। বর্তমানে গলাচিপা উপজেলার কালাগাছিয়া ইউনিয়নের বাশঁবাড়িয়া গ্রামে চলছে জমি দখলের মহা উৎসব। সিভিল সার্জনের ছত্রছায়ায়/পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে এসব অনৈতিক কার্যাকলাপ। মো: হানিফ শিকদার, মো: আবুল কাশেম শিকদার, মৃতু. আব্দুল খালেক শিকদার এর পিতা মেহের আলী শিকদারের উইলকৃত সম্পত্তির কবলা দলিল করে দখল নেয়ার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। অবৈধ অর্থের বিনিময়, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে (সিভিল সার্জন, গবেষক) এলাকায় বিভিন্ন মানুষের জমি-জমা বেদখল এবং ঘরবাড়ি ছাড়া করেছে। সরকারি খাল জনগণের ফসল উৎপাদনের উৎস। খালের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ, বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ, ভরাট করে ধান চাষ করছে। এলাকার জনগণ কিছু বললে দুর্নীতি, অবৈধ উপার্জন করা টাকার ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মামলা হামলা দিয়ে অযথা হয়রানি করে। সিভিল সার্জনের নিজ বাড়ির মো: রশিদ মোল্লাকে বাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে। সামসুদ্দিন মৃধা ও মতিয়ার রহমান মাস্টারের জমি জোরপূর্বক দখল করে পুকুর খনন করেছে। মো: আবুল কাশেম শিকদার,গোপাল চন্দ্র ভাট মাস্টার, সুদন চন্দ্র ভাট, মো: সামসুল হাক মাস্টার, মো: আজহার শিকদার, মো: জাফর শিকদার, মো: কাদের শিকদার, মো: ফজলে আলী শিকদার, মো: নজরুল ইসলাম মাস্টাগণের কবলাকৃত দলিল জমি/ভূমি জোরপূর্বক দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে এবং কালু মোল্লার বাড়িঘর, নাল সিকিস্তি অধিগ্রহণ করে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। হতদরিদ্র লোক তাহারা কিছু বলতে পারছে না।
বিবাদীরা ভিকটিমদের পিতার কবলা নামজারিকৃত সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবৎ জবরদখল করার পয়তারা করিয়া আসিতেছে। তা হাসিল করার জন্য নামজারিকৃত তফসিলি জমি নিম্নরূপ: এসএ খতিয়ান ৬১৩, দাগ নং ২৯০০, ২৯০১, ২৯০২, ২৯০৬, ২৯০৭, ২৯০৯, এসএ খতিয়ান ৫২১, ৫২৫,৫২৬, দাগ নং ২৮৪৭, ২৮৪৪, ২৯৮০, এসএ ৬৩৬ খতিয়ানের ২৮৯৭ দাগের ভূমিতে সত্ত্ব দখল ছাড়াই হালচাষ এবং দুর্নীতির সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। সিভিল সার্জন এর ছত্রছায়ায় সাধারণ জনগণের ফসল উৎপাদনের সরকারি খাল বন্ধ করে রেখেছে, যাহাতে পানি চলাচল করতে না পারে, যার কারণে মানুষ ফসল উৎপাদন করতে পারছে না। এ অবস্থা জরুরি অবসান হওয়া দরকার, না হলে এলাকার উপযুক্ত জনগণের বিভিন্ন রকমের হেরাজমেন হবে এবং এলাকা সাধারণ জনগনের দু:খ দূর্দসার সীমা থাকবে না। এলাকার অধিকাংশ লোক এর কু-কর্মের সাক্ষী হিসেবে অপেক্ষায় আছে। তাই নিজ জেলায় সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব না দিয়ে অন্যত্র স্থানান্তর করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এসব বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা: এস এম কবির হাসান সরকারি ও ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।