রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহমান খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতনস্কেলসমূহের আওতাভুক্ত সরকারি-বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের ১ জুলাই থেকে ৫ (পাঁচ) শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হলো। এ বিশেষ সুবিধা চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হারে প্রদেয় হবে।
এতে বলা হয়েছে, চাকরিরত কর্মচারীরা ১ জুলাই থেকে প্রতিবছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে এক হাজার টাকার কম নয়, বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএলে যাওয়ার আগে সর্বশেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে উপরিউক্ত হারে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। পুনঃস্থাপনকৃত পেনশনাররাসহ সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারীরা প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে প্রাপ্য নিট পেনশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে পাঁচশ টাকার কম নয়, বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, অবসর গ্রহণকারী যে কর্মচারীরা তাদের গ্রস পেনশনের শতভাগ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ বিশেষ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। জাতীয় বেতনস্কেলে নির্ধারিত কোনো গ্রেডে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তি পেনশনভোগী হলে নিট পেনশন অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত পদের মূল বেতনের ভিত্তিতে যে কোনো এক ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
এ ছাড়া সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্বের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ (অর্ধেক) এর ওপর ৫ শতাংশ হারে এ বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন এবং বিনা বেতনে ছুটিতে থাকাকালীন কর্মচারীরা এ বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন না।
সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে প্রদত্ত অনুদানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যান্য স্ব-শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদের এ বিশেষ সুবিধা দেওয়া বাবদ প্রয়োজনীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজস্ব বাজেট থেকে মেটাতে হবে।