প্রকাশ: সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩, ১১:২৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
দক্ষিণ কোরিয়ার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। মধ্যাঞ্চলীয় শহর চেওংজুর তলিয়ে যাওয়া একটি টানেল থেকে ১৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন ঘটনায় আরও নয়জন নিখোঁজ এবং ৩৪ জন আহত হয়েছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সক ইয়ল কয়েকদিন ধরে চলা প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শনিবার রাতে নিকটবর্তী একটি নদীর বাঁধ ভেঙে পড়ার পর হুড়মুড় করে চলে আসা পানিতে চেওংজুর ওই টানেলটি ডুবে যায়, সেখানে তখন যাত্রীবাহী বাসসহ ১৬টি গাড়ি ছিল। এসব গাড়িতে থাকা লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই পানিতে আটকা পড়ে। এত দ্রুত সেটি জলমগ্ন হয়ে পড়ে যে, গাড়ি চালকরা সরে যাওয়ার সময়ই পাননি।
৬৮৫ মিটার লম্বা ওই টানেলটিতে কতোজন আটকা পড়েছিলেন, দেশটির কর্তৃপক্ষ এখনও তা জানায়নি। এখান থেকে আহত আরও নয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একটি বাসের ভেতর পাঁচজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
জুনের শেষের দিকে বর্ষাঋতু সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছার পর থেকেই দেশটিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে দেশটির মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে টানা প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। এতে বন্যা, ভূমিধস দেখা দেয় এবং বহু এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।
সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে উত্তর গিয়ংসাংয় পার্বত্য অঞ্চলে, এখানে ভূমিধসে বহু বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
আগামী বুধবার পর্যন্ত আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে দেশটির আবহাওয়া অফিস বলেছে, আবহাওয়ার পরিস্থিতি গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে।