এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, কিছুদিন আগে সারাবিশ্বের বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্লেনারি সেশনগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। সে আলোচনার ওপর ভিত্তি করে আমরা একটি বই ছাপিয়েছি। অনুষ্ঠানে সব ব্যবসায়ীর হাতে বইটি তুলে দেওয়া হবে। পুরো বাংলাদেশের চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত ব্যবসায়ীরা সম্মেলনে আমন্ত্রিত থাকবেন। পাশাপাশি বড় বড় কোম্পানির সিইও ও প্রখ্যাত ব্যবসায়ীরাও থাকবেন।
সম্মেলনে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বেসরকারি খাতের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথাগুলোও প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হবে।
বিগত দুটি জাতীয় নির্বাচনের আগে ব্যবসায়ী সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে নির্বাচনে আকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এবার এ সম্মেলন থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত আসবে কি না সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানাননি এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, সেখানে দেশের সব স্তরের ব্যবসায়ীরা থাকবেন। তখনই পরিস্থিতি দেখা যাবে।
এদিকে ব্যবসার উন্নয়ন চলমান রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করতে হবে। আগামীকাল সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশা ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই লক্ষ্য পূরণে যেসব সমস্যা ও সম্ভাবনা রয়েছে তা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে। সম্মেলনে বিদেশি ব্যবসায়ীরা, দেশের বড় বড় করপোরেট ব্যবসায়ী এবং রপ্তানিকারকসহ সবাই অংশ নেবেন।
আগামীকালের সম্মেলনে বিশেষ অতিথি থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।