প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩, ১০:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এটি একটি গ্রামীণ এলাকার মাদরাসার মাঠ, এখন দেখলে মনে হয়, এটি মাদরাসার মাঠ নয়, যেন ভুট্টা শুকানোর চাতাল। এদৃশ্য লালমনিরহাটের বলিরাম তেঁতুলতলা দাখিল মাদরাসা মাঠ জুড়ে। ফলে শিক্ষার্থীদের চলাফেরা ও খেলাধূলায় মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের বলিরাম তেঁতুলতলা দাখিল মাদরাসাটি অবস্থিত। বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ১১টায় বলিরাম তেঁতুলতলা দাখিল মাদরাসা ক'জন সাংবাদিক উপস্থিত হলেও সুপার মাওলানা নুর মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন না। ওই সময় মাদরাসায় পাঠদান চললেও মাদরাসা মাঠজুড়ে নেট দিয়ে চাতাল বানিয়ে ভুট্টা শুকানোর কাজ চলছে। মাদরাসা ঘরের ভিতরে ও বাহিরে রাখা হয়েছে ভুট্টার খড়ি। ফলে শিক্ষার্থীদের চলাফেরা ও খেলাধূলায় মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মাদরাসাটিতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কোন বালাই না। যেন দেখাও কেউ নেই। সেই সাথে মাদরাসা দুইজন কর্মচারী নিয়োগের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বলিরাম তেঁতুলতলা দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন বাসিন্দা মিঠু মিয়া মিলন বলেন, আমার স্ত্রীকে আয়াপদে নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সুপার। এখন আমার স্ত্রী আবেদনও নিচ্ছে না এবং আমাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। আমি এনিয়োগের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার, লালমনিরহাট বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি।
উক্ত মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছলিমুল্ল্যা, সহকারী শিক্ষক ও মাদরাসা কমিটির সদস্য মাওলানা ওয়াজেদ আলী বলেন, ইতিমধ্যে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে করে সুপার তার পছন্দের প্রার্থীর নিকট থেকে আবেদন নেয়া হয়েছে। এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিষয় এলাকাবাসী ও মাদরাসার শিক্ষকরা জানেন না বা দেখেনি। যেন সুপার একাই সব এ মাদরাসার।
বলিরাম তেঁতুলতলা দাখিল মাদরাসার সুপারের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করে পাওয়া না গেলেও ওই মাদরাসার সহ সুপার আবুল হোসেন বলেন, যারা এ মাঠে ভুট্টা শুকাচ্ছে তারা সবাই এলাকাবাসী। কাকে বাঁধা দিবো। তবে মাদরাসা খোলা থাকলে এসব করার কোন নিয়ম নেই। আগামী দিনে আর হবে না। আর আমি নিয়োগ বিষয় কিছু জানি না। আমরা শিক্ষকরা কোন পত্রিকায় এ ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখেনি, শুধু শুনছি, মাদরাসায় দুইজন নিয়োগ হবে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার আঃ বারী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্টানের মাঠ শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্টানের কাজে ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া কৃষি কাজে ব্যবহার করা যাবে। মাদরাসার নিয়োগ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ক'দিনের মধ্যে তদন্ত করে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে জানানো হবে।