বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: কর্মোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব   নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়: রাষ্ট্রপতি   নির্বাচনে ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন ইসির   দেশজুড়ে যে তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা!   মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি ৯ জানুয়ারি   প্রাথমিকের ছুটি বাড়ল ১৬ দিন (তালিকা)   নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বৃক্ষপ্রেমী বীরেনে করুণ আর্তি!
আবু বক্কর সিদ্দিক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩, ৮:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রাস্তার ধারে লাগানো একটি শিমুল গাছ দ্বি-খ-িত করায় করুণ আর্তিতে রয়েছেন স্থানীয় আব্দুল মজিদ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বৃক্ষপ্রেমী বীরেন সরকার মিন্টু। 

বুধবার বিকালে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার গোপালচরণ মহল্লায় অবস্থিত ব্র্যাকমোড় নামক স্থানে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা-পীরগাছা-রংপুর আ লিক মহাসড়ক থেকে উত্তর-পশ্চিম কোণে চলে যাওয়া কাঁচা রাস্তার মোড়ে দ্বি-খ-িত শিমুল গাছ ধরে বুকফাটা আর্তনাদ করেন। গত ৬ জুলাই সকালে এসে যখন দেখতে পান গাছটি দ্বি-খন্ডিত তখন থেকে তাঁর এ আর্তনাদ। অন্যান্য দিনের ন্যায় স্বাভাবিক চলাফেরা না করে দুঃশ্চিন্তায় সময় কাটেন আর বার বার ঐ গাছের কাছে গিয়ে মাপিতে পড়ে থাকা অংশ দ-ায়মান অংশের উপর জোড়ান। কিন্তু, কোন লাভ হয়না। স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেয়ে আমাদের প্রতিবেদক আবু বক্কর সিদ্দিক ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ হয়নি। এসময় বীরেন'র সরকার মিন্টু ২/৩ বছর আগে তিনি চারাগাছটি লাগিয়েছেন। দু-পাশের বয়ে যাওয়া পৃথক রাস্তার ফিকে এতে কোন সমস্যা না হবার কথা। কিন্তু, ৫ জুলাই রাতে কে বা কারা ছোট্ট এ শিমুল গাছটির মাঝখানে কেটে দ্বি-খণ্ডিত করেছে। 

সু-নির্দিষ্টভাবতে কাউকে দায়ী না করে বীরেন'র সরকার মিন্টু প্রতিক্রিয়ায় বলেন- 'যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা এ গাছটি হত্যা করেছে তারা গাছের শত্রু, সমাজের শত্রু, প্রকৃতির শত্রু, মানুষের শত্রু। এদেরকে চিহ্নিত করা হোক। তারপর গাছ হত্যাকারী হিসেবে বিচার করা হোক। এ গাছটির বদলে তারা যদি আমাকে দ্বি-খ-িত করে হত্যা করত শান্তি পেতাম। শিমুল গাছ ঋতুরাজ বসন্তের বাহক। 

তাছাড়া, পরিবেশ বন্ধব, শোভা ও আয় বর্ধক। শুধু এ গাছটি কেন, পরিবেশ বান্ধব সব প্রজাতের গাছই মানুষকে যা দেয় মানুষ গাছকে তা দেয়না। বরং, গাছকে মানুষ নানাভাবে নির্বিচারে উৎপাটন, কর্তনের মাধ্যমে হত্যা, নিধন করে, অত্যাচার, নির্যাতন করে। বিনা কারণে গাছকে আঘাত করে। মানুষ সৃষ্টির 'সেরা জীব'। মহান সৃষ্টিকর্তা বিচারক্ষম বিবেক মানুুষকেই দিয়েছে। অথচ, কিছু মানুষ আছে তারা সমাজে সার্বক্ষণিক ক্ষতি করেই চলে। এরা নিজের ভাল নিজেই চায়না। বিনা কারণে বৃক্ষ নিধনকারীরা পরিবেশের শত্রু। 

তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মনোমুগ্ধরূপে গাছটি যতটা সুন্দররূপে বেড়ে উঠতেছিল, তা মনোমুগ্ধকর! গত বসন্তকালে ১টি ফুল ধরেছিল। দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছে। এক গাছে এক ফুল, আ-হারে! প্রত্যেকদিন ৩/৪ বার বাসা থেকে বেরিয়েছি এ গাছটি দেখতে, না দেখলে স্থির থাকতে পারিনা'। বৃক্ষপ্রেমী বীরেন সরকার মিন্টু ছিলেন- কৃষি শিক্ষক। পরবর্তীতে তিনি উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত ২২ বছর আগে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন বলে জানান।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]