প্রকাশ: বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩, ৮:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বরগুনায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩ জন রোগী নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বরগুনা পৌরসভা থাকে ৭ জন এবং অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে ৬ জন ভর্তি হন।
বুধবার (১১ জুলাই) সকালে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক লোকমান হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসায় তেমন কোনো পৃথক ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে উদ্বেগ ও আক্ষেপের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সকালে জেনারেল হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সাধারণ রোগীর সঙ্গে রেখে মশারি ছাড়াই চলছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা। এতে ঝুঁকিতে পড়েছেন অন্য রোগী ও স্বজনরা।
আক্ষেপ প্রকাশ করে পৌরশহরের টাউনহল এলাকার মো. অলিউল্লাহ বলেন, বরগুনায় দিনদিন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পৌরসভার পক্ষ থেকে লার্ভা শনাক্ত ও মশা নিধনে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই বললেই চলে। আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে তেমন কোনো পৃথক ব্যবস্থাও নেই। সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে মশারী ছাড়াই চলছে চিকিৎসা।
পৌর শহরের চরকলোনী এলাকার ওমর ফারুক বলেন, পৌর শহরের বেশিরভাগ ড্রেনেরই ময়লা ও পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মশা বাড়ছে। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের তেমন কোন তৎপরতাও লক্ষ্য করছি না। রাত দিন সবসময়ই বাড়িতে মশারী টানিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে।
বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, ইতোমধ্যে ডেঙ্গুর বিষয়টি আমলে নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে পৌরসভা থেকে মাইকিং করাসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক লোকমান হোসাইন জানান, গত ১ জানুয়ারি থেকে আজ (১২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট ৭০ জন রোগী বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অবে এখন পর্যন্ত এই হাসপাতালে কোন ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।
তিনি বলেন, রোগীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। মশারী দেওয়ার পরও তারা মশারী ব্যবহার করছেন না।আমরা সাধ্যমতো রোগীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।