প্রকাশ: বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩, ৮:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বরগুনার তালতলীতে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের পরে মাথার চুল কেটে দিলো স্বামী। স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে স্বামী শাহ-আলীকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।
বুধবার(১২ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনায় স্ত্রী ফাতিমার দায়ের করা মামলায় স্বামী শাহ-আলীকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক শাহ-আলী উপজেলার চরপাড়া এলাকার আ.ছালাম এর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ বছর আগে ফাতিমা বেগম এর সঙ্গে পারিবারিক ভাবে শাহ আলীর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে বর্তমানে দুইটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পরে স্ত্রীকে বিদেশে পাঠায় শাহ আলী। বিদেশ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে দেশে আসেন ফাতিমা। শাহ আলী কোনো কাজ না করে স্ত্রীর জমানো টাকা খরচ করতে থাকেন। এক পর্যায় ঐ টাকা শেষ হলে শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুকসহ বিভিন্ন সময় টাকা ধার নেন। যা দিচ্ছি দিচ্ছি বলেও আর দেন নাই। এরপরও আবার ফাতিমাকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শাহ আলী। এর জেরে গতকাল মঙ্গলবার ফাতিমা তার শ্বশুরবাড়ি থাকাকালীন সময় একই অযুহাতে তাকে মারধর করেন শাহ আলী।
এক পর্যায়ে ঘরে থাকা কাঁচি দিয়ে ফাতিমার মাথার সব চুল কেটে দেন স্বামী। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে ফাতিমাকে উদ্ধার করে তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ঐ ফাতিমা বাদী হয়ে স্বামীকে আসামী করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে যৌতুকের কথাও বলা আছে। নির্যাতিতা নারীকে উদ্ধারের সময় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে ও মামলার পরে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
স্ত্রী ফাতিমা বলেন, প্রায় সময়ই আমার স্বামী আমাকে নির্যাতন করতো ও বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে আসতে বলে। আমি বিদেশ থেকে যে টাকা নিয়ে আসছি সব শেষ করছে স্বামী শাহ আলী। এখন বাবার বাড়ি থেকে টাকা না নিয়ে আসলে মারধর করেন। গতকাল আমার মাথার চুল কেটে দিয়েছে সব। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
তালতলী থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) শহিদুল ইসলাম খান বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। ঐ নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।