আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে গণসংযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, সমাজ সেবামূলক সংস্থা কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জাতীয় দৈনিক ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন।
সোমবার দিনব্যাপী ফরিদপুর-১ আসনের মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও বাজার ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এখানকার মাটি মানুষের জনপ্রিয় নেতা দোলন। এছাড়াও বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের তামারহাজী বাজারে, তামারহাজী ঈদগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে ও তামারহাজী বরকতিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় আয়োজিত পৃথক পৃথক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য তিনি।
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার অবকাঠামোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগব্যবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন আরিফুর রহমান দোলন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় জনগণ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরিফুর রহমান দোলনকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।
আরিফুর রহমান দোলন বলেন, 'আমরা যে যত প্রভাবশালী হই না কেন, যে যত ধনী হই না কেন, গরিব হই না কেন আমাদের সবাইকে একদিন মরতে হবে। বেঁচে থাকবে আমাদের কাজ। মানুষ আমাদের কাজকে মনে রাখবে। ঠিক সে অনুযায়ী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার আদর্শকে ধারণ করে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সবাইকে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাব।'
এই সমাজসেবক ইতোমধ্যে বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা, মন্দির ও শশ্মানের জন্য অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বলেন, 'নির্বাচিত জনপ্রতিনিদের এই সেবামূলক কাজ করা আরও বেশি সহজ হয়। আরও বড় পরিসরে জনমানুষের সেবা করা যায়। উন্নয়ন কাজ করা যায়।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মাসেতু হওয়ার খুব সহজে আমরা যাতায়াত করতে পারি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ হয়েছে এবং হচ্ছে। অতিতে ছিল না। জনপ্রতিনিধিরা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে আরও বেশি করে অনুদান আনতে পারেন। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী অনুদান আনতে হলে জনগণের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকা দরকার। সরকারের এতো উন্নয়ন যোগাযোগ থাকা সত্ত্বেও জনগণের কাছে যদি না আসে তাহলে সেই বিচার জনগণের কাছে থাকবে।'
ঢাকা টাইমস সম্পাদক দোলন বলেন, ‘আমার বাড়ি ঘর সবার জন্য উম্মুক্ত। আপনার যত কথা বার্তা আছে আমাকে বলেন, আমি আমার সাধ্য মতো সমাধান করার চেষ্টা করব। আমা বাড়ির গেট যদি তালা দেওয়া থাকে তাহলে কি আপনারা আমার বাড়িতে যেতে পারবেন, পারবেন না। আমার বাড়ির দরজা সবসময় আপনাদের জন্য উম্মুক্ত থাকবে।’
এসময় জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মৃধা লিটন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য হাসান শিকদার, আলফাডাঙ্গার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান, আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব খান আমিরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম রানা, গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলী, গোপালপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি নূর নবী, বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশরদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অশোক কুমার ঠাকুর, পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুন্নু শিকদার, সহ-সভাপতি আল মামুন মিনা, পরমেশ্বরদী ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শোয়েব শিকদার, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত শেখ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল মিনা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার মিনা, লিটন মিনা, সেলিম শরীফ, তামারহাজী বরকতিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি শরিফুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।