প্রকাশ: সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩, ৯:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার অলিপুরা ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর নগর (মার্কাস) গ্রামের এক শারীরিক প্রতিবন্ধীর জায়গায় দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নুরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন ও জুয়েল গংদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ আলী হোসেন ও তার পরিবার গত রবিবার বিকেলে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ভুক্তভোগী আলী হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভাতিজা আলাল মিয়া। লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আলী হোসেন, রায়পুরা উপজেলার তুলাতুলি মৌজার এসএ ৯৫ খতিয়ানে ১৭৮ দাগে ও আর এস ৩৮ খতিয়ানে ৩২৭ দাগে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ জায়গা ১৯৯৯ সালে সাবকবলা দলিল মূলে ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ভোগদখল করে আসছি। যার দলিল নং- ৯০৯১। কিছুদিন যাবত আমার ক্রয়কৃত জায়গা জোরপূর্বক দখল করার জন্য প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম, তার ছেলে সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন, ও জুয়েল গংরা মরিয়া হয়ে ওঠেছে। তারা আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে একের পর এক মিথ্যা মামলা, অপপ্রচার এবং হামলা করে হয়রানি করে আসছে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, এমপি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ভুক্তভোগী আলী হোসেন বলেন, আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। ১৯৯৯ সালে সোয়া পাঁচ শতাংশ জায়গা ক্রয় করি।তার মধ্যে ক্রয়কৃত সোয়া এক শতাংশ জায়গা ও পৈতৃক চার শতাংশ জমি নুরুল ইসলাম ও তার ছেলেরা জোরপূর্বক দখল করতে চায়। এবিষয়ে গত ৩০ মে রায়পুরা থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পরে ১৪ জুন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। যার নং-৫৭৪/২৩। থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলা করা সত্ত্বেও তারা তা আমলে না নিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে আমাদের ওপর। একের পর এক আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-হামলা এবং অপপ্রচার করতে থাকে। নুরুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দেয়। এবিষয় নিয়ে স্থানীয় মেম্বার বেশ কয়েকবার বৈঠক করলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
স্থানীয় হযরত আলী বলেন, নুরুল ইসলাম ও তার ছেলেরা দাঙ্গাবাজ লোক। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে চায় না। নুরুল ইসলামের চাচা জয়নাল মিয়া মারা গেলে একমাত্র কন্যা সন্তানের জননী তার আপন চাচী (আনু)কে মারধর করে বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে বাড়ী-ঘর দখল করে নেয়। বর্তমানে ওই বিধবা নারী তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে গাজীপুরে বসবাস করেন।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য মোহর আলী বলেন, আমি দু'পক্ষকে নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসেছি। কিন্তু একপক্ষ ছাড় দিলেও অন্যপক্ষ ছাড় দিতে নারাজ। এনিয়ে দু'পক্ষের সংঘর্ষও হয়েছে। বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য থানার মাধ্যমে উভয়কে আইন মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।