প্রকাশ: শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩, ৯:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় অদম্য বাংলাদেশ কর্ণারসহ অফিসের জানালার কাচ ভাংচুর করার ঘটনায় নাসির উদ্দীন (২৫) নামের এক যুবকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সদর থানার এসআই মামুনুর রশিদ ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নৈশ প্রহরী হরকান্ত বর্মন আহত হন। নাসির উদ্দিন হরিপুর উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মারাধার গ্রামের মৃত আব্দুল লফিতের ছেলে।
জানা যায়, সকালে জেলা জজ আদালতের প্রধান গেটের সামনে মোটরসাইকেলটি রেখে আতর্কীতভাবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় উঠে অদম্য বাংলাদেশ কর্নার ভাংচুর করে নাসির উদ্দিন। পরক্ষেনেই অফিসের পশ্চিমাংশের সকল দপ্তরের জানালার কাচের জানালা বেলচা দিয়ে ভেঙ্গে দেয়। শেষে পূর্ব দিকে জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষের প্রবেশের কেচি গেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানেই জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষসহ সকল রুমের জানালার কাচ ভেঙ্গে দেয়। এছাড়াও সর্ব পূর্বের প্রশাসনিক কর্মকর্তার রুমের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ার-টেবিল ও কম্পিউটার প্রিন্টার এবং অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র ভেঙ্গে বাহিরে ফেলে দেয়। পরক্ষনেই ওই কার্যালয়ের নৈশ প্রহরী হরকান্ত বর্মন চিৎকার শুরু করে ও অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানায়। ঘটনাক্রমে ওই সময়ে সদর থানা পুলিশের এসআই মামুনুর রশিদসহ পুলিশের একটি টিম যাচ্ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুবৃত্ত নাসির উদ্দীন পালানোর চেষ্টা করে। তাকে আটক করতে গেলে তার হাতে থাকা বেলচার আঘাতে এসআই মামুনুর রশিদ মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে পুলিশের সদস্যরা ধাওয়া করে তাকে জজ আদালতের গেটের সামনে মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
কিছুক্ষন পরেই জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনসহ জেলা প্রশাসকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশের বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার যেমন, সিআইডি, পিবিআই, ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিভিন্ন আলামত ও তথ্য সংগ্রহ করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, যে কোন সরকারী অফিস একটি গুরুত্বপুর্ন জায়গা। কাজটি অত্যন্ত খারাপ একটি কাজ হয়েছে, আইনগত ব্যবস্থায় যাচ্ছি। সে সময় কে ডিউটিতে ছিল তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিলই সেক্ষেত্রে কিভাবে এ জাতীয় ঘটনা ঘটেছে সেটি পুলিশের তদন্ত শেষে জানা যাবে।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন আলমতসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছে। এ হামলার পেছনে অন্য কোন কারণ আছে কিনা, মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।