গত রবিবার ঢাকা-১৭ থেকে উপ-নির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যেকোনো সংসদীয় আসনে নির্বাচন করতে হলে ১% ভোটারের নাম ও সই প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই ১% ভোটার ও তাদের সই নিতে পারেননি হিরো আলম। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি দল সরেজমিন ঘুরে হিরো আলমের দেওয়া ১% ভোটারের হদিস পায়নি। এ জন্যই তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
সে সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, মোট ১৫ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বাছাইয়ে সাতজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। বাকি আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে হারেন তিনি। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসানের কাছে জামানত হারান বগুড়া-৬ আসনে।
এছাড়া গত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে জাতীয় পার্টির টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন হিরো আলম। সিংহ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পেয়েছিলেন ৬৩৮ ভোট।