প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩, ৫:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
‘কোনো কোনো মামলায় বুদ্ধিবৃত্তিক (ইনটেলেকচুয়াল) দুর্নীতি হচ্ছে’ বলে বিদায় বেলায় জানিয়ে গেলেন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।
বিচারিক কর্মজীবনের শেষ দিনে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে দেয়া সংবর্ধনায় তিনি একথা বলেন। প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সকল বিচারপতি ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, ‘বিচারকরা নিজেরা স্বাধীন না হলে সংবিধানে যা’ই লেখা থাকুক না কেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আসবে না।’
বিচারালয়ের পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন কাজ বিচারক- আইনজীবীরা করতে পারে না উল্লেখ করে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, ‘এটা আমার মতামত যে, কোনো কোনো মামলায় (ইনটেলেকচুয়াল) বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি হচ্ছে।’
সিনিয়রদের প্রতি শ্রদ্ধার পাশাপাশি আইনজীবী সমিতির মর্যাদা রক্ষার আহবান জানিয়ে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান বলেন, ‘আইনজীবী সমিতি হচ্ছে বিচারক তৈরির সূতিকাগার। সেই আইনজীবী সমিতিতে যদি ঐক্য না থাকে, তাহলে আমাদের অন্তরে কষ্ট লাগে। কারণ, আমরাও (বিচারকরা) আইনজীবী সমিতি থেকেই এসেছি।’
বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের বিদায়ী সংবর্ধনায় অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এসময় আপিল বিভাগের আদালত কক্ষ আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল।
বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ১৯৫৬ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ সাব ডিভিশনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা জজ আদালতের তালিকাভুক্ত আইনজীবী হন। ১৯৮৭ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৯ সালে তিনি হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০১১ সালে তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন। এরপর ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান আপিল বিভাগের বিচারপতি হন।