প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩, ১:০৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ করার টাকার অভাব নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কৃষকলীগের বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আজকে জ্বালানির মতো সংকট, বিদ্যুৎ সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি—সারা বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আমরা সামলে যাচ্ছি। তাপমাত্রা বেড়েছে, এটা তো আমাদের দোষ না। সে জন্য বিদ্যুৎ সংকটটা বেড়ে গিয়েছিল, আমি আশা করি, ৫-৭ দিনের মধ্যে এটা ঠিক হয়ে যাবে। লোডশেডিং অনেক ঠিক হয়ে গেছে, এটা আরও ঠিক হয়ে যাবে।'
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, প্রধানমন্ত্রী একদিন হঠাৎ করে দেশের বাইরে। তিনি লন্ডন, ওয়াশিংটন, জাপান সফর করার পর কয়েক দিনের মধ্যে চলে গেছেন কাতার। দেশটির আমিরের আমন্ত্রণে। কাতারের আমির তাকে আশ্বস্ত করেছেন জ্বালানির জন্য কোনো সমস্যায় বাংলাদেশকে পড়তে হবে না। এগুলো সংস্থান করতে হচ্ছে। অথচ যারা রাজনীতির নামে বড় বড় কথা বলে, মিথ্যাচার করে—বিদেশিদের কাছে নালিশ, বিদেশিদের উসকে দেয় বাংলাদেশ যাতে আরও কষ্টে নিপতিত হয়। যাতে বাংলাদেশ সক্ষমতার সঙ্গে চলতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশের বাইরেও খেলা চলছে। চক্রান্ত চলছে। লবিস্ট নিয়োগ করেছে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে। তাদের লবিস্ট নিয়োগ করার টাকার অভাব নেই। ক্ষমতায় না থাকলেও সেই অর্থ তাদের আছে। লবিস্ট নিয়োগ করে আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে,।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ জন সদস্য এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে শায়েস্ত করতে বলছেন। আমেরিকার ৬ জন কংগ্রেসম্যান চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠিগুলো মর্ম কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এটা তাদের মাথাব্যথা—আমাদের দেশ! আর কেউ কেউ মনে মনে মন কলা খাচ্ছে; এই বুঝি নিষেধাজ্ঞা এলো! এই বুঝি ভিসানীতিতে পড়ল আওয়ামী লীগ সরকার!
বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো আছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কৃষিকে এখানে গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডে মধ্য দিয়ে আধুনিকায়ন করেছি। যান্ত্রিকীকরণ করেছি, তার ফলে আমাদের খাদ্য ঘাটতি নেই। পেটে যখন খাবার আছে তখন অন্যগুলো সামাল দেওয়া যায়।
তিনি বলেন, এই মহামারির মধ্যে আজকে বিশ্ব সংকটে। দেশে দেশে এত সংকট। আমরা ১২ লাখের মতো বিদেশি নাগরিক আজকে কক্সবাজারে। আমরা এদের ভরণ-পোষণ, আশ্রয়ের দায়িত্ব আমাদের হাতে। আমাদের এত ত্যাগ—আমাদের ইকোলজি, আমাদের ট্যুরিজম...বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত আমরা সেক্রিফাইজ করেছি। তারপরও সর্বশেষ খবর পাচ্ছি যে, জাতিসংঘ এদের ভরণ-পোষণের প্রয়োজনীয় ফান্ড দিতে পারছে না বলে অপরাগতা প্রকাশ করেছে। এই অবস্থায় কৃষিটা ঠিক আছে বলে আমরা অনেক ভালো আছি। আমরা এখনো রোহিঙ্গাদের ভরণ-পোষণ-আশ্রয়; আমাদের এত দুঃখ-কষ্ট-সংকটের মধ্যে আমরা কিন্তু তাদের ব্যাপারটাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কারণ মানবিক কারণে মানবতার মা শেখ হাসিনা তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। কাজেই এদের আমরা ফেলে দিতে পারি না। কিন্তু মানবতার নামে যে বিশ্ব আজকে বড় বড় কথা বলে, বড় বড় কর্তা ব্যক্তিরা, তারা কি এটা দেখে না? কীভাবে চলবে এ সংকটে ১২ লাখ লোকের অতিরিক্ত দায়িত্ব, এখন আরও বেশি হবে, এ দায়িত্ব আমরা কী করে পালন করব।