প্রকাশ: বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩, ৯:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাইসাইকেল চালানো নিয়ে বাকবিতন্ডার জের ধরে নবম শ্রেণীর ছাত্র সিহাব আলীকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৪ জুন) সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দুর্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে হত্যার বিচারের দাবিতে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় অঝোরে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত স্কুলছাত্র সিহাবের সহপাঠী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হত্যার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হত্যার সাথে জড়িত আসামীদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। সাইকেল চালানো নিয়ে দ্বন্দ্বে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আমরা চাই, পুলিশ আসামীদের আটক করে নিহতের পরিবারের সদস্যের ন্যায়বিচার দিতে সহযোগিতা করবে।
নিহত সিহাব আলীর বাবা সাইদুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোন তৎপরতা নেই। বরং আসামীদের আটক না করতেই নানরকম টালবাহানা করছে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিকট এর সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। বিচার না করে দিলে আমাদেরকে বিষ দেন, তা খেয়ে মরে যেতে চাই।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দুর্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান, সহকারী শিক্ষক শাহিন আলী, দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম আজম, ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী, নিহত স্কুলছাত্র সিহাব আলীর বাবা সাইদুর রহমান, মা সুফিয়া বেগম, স্থানীয় বাসিন্দা মুকুল ইসলামসহ শিক্ষার্থীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেয় সহপাঠী শিক্ষার্থীরা।
গত ০৭ জুন বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার দুলর্ভপুর ইউনিয়নের মহলদার পাড়ায় সাইকেল চালানো নিয়ে হওয়া দ্বন্দে গঙ্গারামপুরের সিহাব আলীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত সিহাব দুলর্ভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সাইদুর রহমান পরদিন শিবগঞ্জ থানায় বাদি হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ জানান, পুলিশ স্কুলছাত্র হত্যার মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। এই মামলায় দুইজন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে দুইদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বাকি আসামীদেরকেও আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।