প্রকাশ: বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩, ৯:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী তানভীরের (২৩) মৃতদেহ ৪৪ ঘণ্টা পর ভেসে উঠেছে। তিনি ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। নিহত তানভীর বরগুনা জেলার সদর থানার নলী চরকগাছিয়া গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে। তার বাবা বরগুনা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
বুধবার (১৪ জুন) কুমারখালী থানার ওসি মোহসীন হোসাইন তানভীরের মরদেহ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় যেখানে ডুবেছিল তার কিছুটা দূরে মৃতদেহ ভেসে ওঠে।
জানা গেছে, সোমবার (১২ জুন) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী মাইক্রোবাস যোগে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় ভ্রমণে যান। তারা প্রথমে মেহেরপুরের মুজিবনগর ভ্রমণ করেন। সেখান থেকে কুষ্টিয়ায় ফকির লালন শাহের আখড়াবাড়িতে আসেন। পরে তাদের মধ্যে তিনজন গড়াই রেল সেতুর নিচে গোসল করতে নামেন। এ সময় দুই বন্ধু তীরে উঠতে পারলেও তানভীর তলিয়ে যান।
এদিকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস ও খুলনা নৌবাহিনীর ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালালেও নদীতে ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থী তানভীরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল থেকে খুলনা ডুবুরি দলের পাঁচ সদস্য উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছিল।
পরে প্রায় ৪৩ ঘণ্টা পরে বুধবার সকাল সোয়া ১১ টার দিকে সেতু এলাকায় মৃতদেহটি ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহটি উদ্ধার করে।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, নিখোঁজ ছাত্রের ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে বরগুনা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস সালামের ছেলে তানভীর আহমেদ নিখোঁজ সংবাদের বরগুনায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। চরম উদ্ববেগ ও উৎকণ্ঠের মধ্য দিয়ে সময় পার করতে থাকেন সজনরা। বুধবার ১১ টার দিকে মৃতদেহ উদ্ধারের সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে গোটা বরগুনায় শোকের ছায়া নেমে আসে।