তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক কক্সবাজারের মহেশখালীতে দৈনিক ৬০০ এমএমসিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দেশে বর্তমানে দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। মহেশখালীতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার এ দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করে ইউএসএ-এর এক্সেলরেট এনার্জি এবং সামিট গ্রুপ।
এরমধ্যে মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই পেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি করে এক্সিলারেট এনার্জি। নির্মাণ শেষে ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কোম্পানিটি। ১৫ বছর মেয়াদি এ টার্মিনাল দিয়ে গ্যাস সরবরাহের চুক্তি রয়েছে ২০৩২ সাল পর্যন্ত। তবে এরই মধ্যে এ টার্মিনাল চুক্তির মেয়াদ ২০৩৮ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
একই প্রযুক্তি মেনে মহেশখালীতে ভাসমান স্থানীয় জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট গ্রুপ এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল চুক্তি সই করে। এরপর ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কোম্পানিটি। এ টার্মিনালের মেয়াদ রয়েছে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনালের সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। অবশ্য গত মাসের শেষ দিকে টার্মিনাল দুটি পূর্ণমাত্রায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে। কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলে স্থাপিত এ দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের সরবরাহ সক্ষমতা মোট ১ হাজার (৫০০+৫০০) এমএমসিএফডি।