প্রকাশ: রোববার, ৪ জুন, ২০২৩, ৯:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমের রাজধানীখ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী থেকে কম খরচে ঢাকায় আম পরিবহনের জন্য ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালু হচ্ছে আগামী বুধবার (০৮ জুন) থেকে। ওই দিন বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিশেষ এই ট্রেনের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। উদ্ভোধন করবেন মাননীয় রেলপথ মন্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি।
রবিবার (০৪ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাষ্টার মো. ওবাইদুল্লাহ। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে পথিমধ্যে আরও ১টি রেলস্টেশনে থামবে ট্রেনটি। ওই সব স্টেশন থেকে আম নিয়ে ট্রেনটি রাত ১টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
এর আগে শুক্রবার (০২ জুন) ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে বিকেল ৪টায় ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। নাচোল স্টেশনে পৌঁছাবে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে, নিজামপুরে রেলস্টেশনে ৪টা ৪০ মিনিটে, আমনুরা জংশনে বিকেল ৫ টায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ৬ টায়, আমনুরা বাইপাস ও কাঁকানহাটে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে। এসব স্টেশন থেকে ঢাকায় আম পরিবহনে ব্যবসায়ী ও চাষিদের খরচ হবে প্রতি কেজিতে ১ টাকা ৩২ পয়সা।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৭টা ৩০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। ৭টা ৫৩ মিনিটে সরদহ রোড, রাত ৮টা ১৫ মিনিটে আড়ানি, ট্রেনটি আব্দুলপুরে পৌঁছাবে রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে। এসব স্টেশন থেকে ঢাকায় আম পরিবহনে ব্যবসায়ীদের গুণতে হবে ১ টাকা ১৭ পয়সা।
ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে রাত ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। মাঝে জয়দেবপুর ও ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে আম বুকিং করার জন্য দাঁড়াবে। ট্রেনটি তেজগাঁও পৌঁছাবে রাত ১টা ১৫ মিনিটে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে রাজধানীগামী ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনটি চালু হয় ২০২০ সালের ৫ জুন। ওই বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত চলা ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে আম পরিবহন হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮২ কেজি। এতে রাজস্ব আয় হয় ২ লাখ ১১ হাজার ৪৫৮ টাকা। দ্বিতীয় বারের মতো ২০২১ সালের ২৭ মে ট্রেনটি চালু করা হয়। সেই বছর আম পরিবহন করা হয় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭৩ কেজি। রাজস্ব আদায় হয় ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯২০ টাকা। সর্বশেষ গতবছর ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনে মোট ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৫৫ কেজি আম পরিবহন করা হয়। এতে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৪ টাকা আয় হয়েছিল।