শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: কর্মোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব   নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়: রাষ্ট্রপতি   নির্বাচনে ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন ইসির   দেশজুড়ে যে তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা!   মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি ৯ জানুয়ারি   প্রাথমিকের ছুটি বাড়ল ১৬ দিন (তালিকা)   নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বিসিআইসিতে মামলার তথ্য গোপন করে পদোন্নতি!
#বাস্তবায়নে দায়িত্ব দেওয়া হয় কর্মচারী প্রধান মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে। #কর্মচারী প্রধান পদবীতে পদোন্নতি নিয়েছেন। #দুদকের দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলার আসামি তিনি। #জ্যেষ্ঠতা সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা হয়েছে।
আরিফুর রহমান
প্রকাশ: রোববার, ৪ জুন, ২০২৩, ৮:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি সংস্থা। ১০ থেকে ১২ টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে ধুকে ধুকে চলছে এই সরকারী সংস্থাটি। আর্থিক বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, বছরের পর বছর লোকসানী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর হয়েছে বিসিআইসি। 

বিসিআইসি’র মূল কাজ সার উৎপাদনসহ সমগ্র বাংলাদেশে সার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ। উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান নানা কারণে আমদানিমুখী প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে একজন চেয়ারম্যান ও পাঁচ জন পরিচালক নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত। সার বিতরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বিসিআইসি সুনামের সাথে প্রায় দুই যুগ ধরে পালন করে আসছে। বিসিআইসি’র অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের প্রধান পদ কর্মচারী প্রধান। নিয়োগ, তদন্ত, পদোন্নতি ইত্যাদিসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় কর্মচারী বিভাগ থেকে পরিচালিত হয়। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২২ সালের (৮ আগস্ট) বিসিআইসি ১৯৩৫ (২০২২/৩১) তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখালে উল্লেখ থাকে যে, বিসিআইসিতে কর্মরত সকল স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চাকরির জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত জ্যেষ্ঠতা সংক্রান্ত বিধি-বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত বিধি-বিধানের আলোকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার পদোন্নতির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটিতে (বিসিআইসি) পক্ষে বাস্তবায়নে দায়িত্ব দেওয়া হয় কর্মচারী প্রধান মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে। 

বোর্ডের এমন নির্দেশনা থাকলেও মোহাম্মদ জাকির হোসেন বিসিআইসি বোর্ডের গৃহীত সিদ্ধান্ত বিসিআইসি কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন করে কোনরকম গোজামিলে অর্ধ জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করে গ্রেড-২ পদে নিজের পদোন্নতি আগে নিশ্চিত করে। কর্মচারী প্রধান পদবীতে বিসিআইসি’র ইতিহাসে কোন কর্মকর্তার পদোন্নতি না হলেও মোহাম্মদ জাকির হোসেন কর্মচারী প্রধান পদবীতে পদোন্নতি নিয়েছেন। সেই পদোন্নতি কমিটির সদস্য-সচিব জাকির হোসেন নিজেই অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, তথ্য গোপন করে পদোন্নতি প্রদান করেছেন প্রতিষ্ঠানটিতে অনেককেই। বর্তমান চীফ অডিটর ও চীফ ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) মো. গোলাম ফারুক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলার আসামি। তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যখন দুর্নীতি মামলা দায়ের করে তখন মো. গোলাম ফারুকের পদবী ছিল উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম)। বর্তমান (সিওপি) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মো. গোলাম ফারুকের ঘনিষ্ট হওয়ায় পদোন্নতি কমিটির কাছে ও বিসিআইসি কর্তৃপক্ষের কাছে মামলার তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ আছে। মো. গোলাম ফারুক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক (গ্রেড-২) পদে পদোন্নতি বিবেচনার সময় বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে মো. গোলাম ফারুক এর পদোন্নতি বিবেচনা করা হয়নি। যেখানে মো. গোলাম ফারুকের সাময়িক বরখাস্ত থাকার কথা সেখানে মোহাম্মদ জাকির হোসেন তথ্য গোপন করে তাকে পদোন্নতি দিয়েছেন।

চাকুরী স্থায়ীকরণের চিঠি: বিসিআইসি’র চাকুরী স্থায়ীকরণের পত্রের বিষয়ে বিসিআইসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানাসমূহের অন্তত দুইশত জন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ প্রতিবেদককে জানান, শুনেছি আমাদের চাকুরী স্থায়ীকরণ হয়েছে। কিন্তু কি কারণে স্থায়ীকরণ পত্র আমাদেরকে দেওয়া হচ্ছে না সে বিষয়ে আমরা এখনো কিছু জানিনা।

প্রতিষ্ঠানটিতে যারা অবসরে গিয়েছেন এমন একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে তারা জানান, অবসরের সময় অনেকের ব্যক্তিগত ফাইল থেকে স্থায়ীকরণের চিঠি গায়েব হয়ে যায়। ইচ্ছাকৃত আমাদের হয়রানি করা হয়। অর্থের লেনদেনে আবার সবকিছু ঠিক হয়ে যায়। স্থায়ীকরণের চিঠি কর্মকর্তাদের বা বিসিআইসি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয় না। এ জন্য একটি বিশেষ সিন্ডিকেট রয়েছে। মোহাম্মদ জাকির হোসেন ডিজিএম (প্রশাসন) থেকেই বিসিআইসি’র কর্মচারী বিভাগে রয়েছে। প্রায় ৮ বছরের অধিক সময়ের কর্মকালীন এই কর্মকর্তার নির্দেশেই স্থায়ীকরণের চিঠি কর্মকর্তাদের হাতে পৌঁছায়নি। 

তারা আরো জানান, বিসিআইসিতে ৩ বছর পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভাগ পরিবর্তনের নিয়ম থাকলেও মোহাম্মদ জাকির হোসেন তা আজও বাস্তবায়ন করেনি। এ নিয়ম বাস্তবায়িত হলে মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সিন্ডিকেট ভেঙে যেতে পারে সে ভয়ে কর্মচারী বিভাগের কর্মকর্তা বদলী হয়না। কর্মচারী বিভাগে চাকুরীরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরীর রেকর্ড পর্যালোচনা করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

পদ ও বদলী: অভিযোগ রয়েছে মোহাম্মদ জাকির হোসেন নিজের পদকে নিরাপদ রাখতে সিনিয়র সহকর্মীদের তদন্তের জালে জড়িয়ে পদোন্নতি বঞ্চিত করেছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত জ্যেষ্ঠতা সংক্রান্ত বিধি-বিধানের ভিত্তিতে বিসিআইসি’র জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ বিষয়ে মামলা হয়েছে। মামলার ফলে সকল প্রকার পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। বিসিআইসি’র কর্মকর্তারা পদোন্নতি বঞ্চিত হচ্ছে। 

স্বেচ্ছাচারিতা: বিসিআইসি কর্মচারী চাকুরী প্রবিধানমালা ১৯৮৮ এর ৩৫(২) এ উল্লেখ রয়েছে যে, প্রত্যেক কর্মকর্তা বছরে তার ব্যক্তিগত নথি একবার দেখতে পারবে। কিন্তু এ বিষয়ে কোন কর্মকর্তা আবেদন করলে মোহাম্মদ জাকির হোসেন তাকে নথি দেখতে না দিয়ে বদলীর ভয় দেখিয়ে হয়রানি করে। এ ধরণের আবেদনের কোন অস্তিত্ব জাকির হোসেন রাখে না। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে করা বিভিন্ন আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির কথা থাকলেও মোহাম্মদ জাকির হোসেন ক্ষমতা বলে আবেদন গ্রহণ করেন না। আবার কোন আবেদন গ্রহণ করলেও মাসের পর মাস ফেলে রাখেন। মোহাম্মদ জাকির হোসেনের স্বেচ্ছাচারিতার ফলেই বিসিআইসিতে নেই কোন সুশাসন। পত্র গ্রহণ রেজিস্টার পরীক্ষা করে সঠিক তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে বলে জানা যায়।

জাকির হোসেনের ইচ্ছায় তদন্ত প্রতিবেদন: প্রকৌশলী সুদীপ মজুমদার, পিইঞ্জ. এমটিএস বিভাগ, বিসিআইসি সম্প্রতি তার ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্য হয়েছে। প্রকৌশলী সুদীপ মজুমদার পদোন্নতি পেলে পরিচালক (কারিগরি ও প্রকৌশল) হিসেবে একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি হবে। প্রকৌশলী সুদীপ মজুমদার যেন কোন ক্রমেই ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত না হন সে জন্য মোহাম্মদ জাকির হোসেন কৌশলে তার আস্থাভাজন মোঃ গোলাম ফারুক সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কোন সম্পৃক্ততা না থাকলেও মোহাম্মদ জাকির হোসেনের নির্দেশে প্রকৌশলী সুদীপ মজুমদারকে প্রাথমিক ভাবে দায়ী করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় বলে জানা যায়। কোন ক্রমেই প্রকৌশলী সুদীপ মজুমদার পদোন্নতি পেয়ে পরিচালক না হতে পারেন। মো. গোলাম ফারুক তার নিজ পদোন্নতি, প্রাপ্ত পুরস্কার ও বরখাস্ত না হওয়ার জন্য কর্মচারী প্রধান মোহাম্মদ জাকির হোসেনের কাছে দায়বদ্ধ। এই দায়বদ্ধতার সুযোগ নিয়ে মোহাম্মদ জাকির হোসেন মো. গোলাম ফারুককে ব্যবহার করে আসছে। যেখানেই কর্মচারী প্রধান মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্বার্থ সেখানেই চীফ অডিটর ও চীফ ফাইন্যান্স অফিসার মো. গোলাম ফারুক তদন্ত কমিটি’র সদস্য। যে কর্মকর্তা নিজেই দুদকের ফৌজদারি মামলার আসামী তাকে দিয়ে সত্য ও নিরেপেক্ষ তদন্ত হতে পারে না।

টেকনিক্যাল ক্যাডারের কর্মকর্তারা হতাশ: কর্মচারী প্রধান মোহাম্মদ জাকির হোসেন মূলত টেকনিক্যাল ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ভাবে কোন ঠাসা করে রাখেন। পদে পদে টেকনিক্যাল ক্যাডারের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হয়। প্রকৌশল নির্ভর বিসিআইসিকে প্রকৌশলীদের কোন মূল্যায়ন নেই।টেকনিক্যাল ক্যাডারের কর্মকর্তারা ঠিকমত পদোন্নতি পান না। যেখানে সব গ্রেডের কর্মকর্তাদের এক সাথে পদোন্নতি বিবেচনা করার নিয়ম থাকলেও খেয়াল খুশি মত পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

বদলী বাণিজ্য: সম্প্রতি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তিনটি দপ্তরাদেশ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঘোড়াশাল-পলাশ ফার্টিলাইজার প্রকল্পে ৬৭ জন পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন কারখানা থেকে পদায়ন করা হয়। এই বদলীতে মোহাম্মদ জাকির হোসেন তার পছন্দমত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উৎকোচের মাধ্যমে বদলী করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদেশে প্রশিক্ষণ ও বিশেষ সুবিধার আশায় অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলী হয়েছেন বলে জানা যায়। বদলীকৃতদের মধ্যে কোন নারী না থাকায় নারী ক্ষমতায়নেও বাধা তৈরি করেছেন তিনি। নারীরা এই কারখানায় কাজ করতে কি সক্ষম নয়? সার কারখানা এমন কোন বিজ্ঞান নয় যে, যেখানে নারীরা কাজ করতে পারবে না। অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, শিল্প সচিব একজন নারী। বিষয়টি তদন্তে দেখা যায় কর্মচারী প্রধান মোহাম্মদ জাকির হোসেনের নারী বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে কোন নারীকে এই কারখানায় পদায়ন করা হয়নি যা এসডিজি বাস্তবায়নে বাধাস্বরূপ। এভাবে শুদ্ধাচার ও সুশাসন কায়েম হতে পারে না। 

আপীল বিভাগে মামলা বিচারাধীন: বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত-১৬, ঢাকা এর ফৌজদারি মামলা নং ৪১৪/২০১৮ এর বিবাদীগণের মধ্যে মোহাম্মদ জাকির হোসেন একজন আসামী। ফৌজদারি মামলার চার্জ গঠন হলে আসামী পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ক্রিমিনাল মিস ৪০২৫৮/২০১৮ দায়ের করলে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এর হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক তা নিষ্পত্তি হয়ে ২০২১ সালের ০২ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এর হাইকোর্ট বিভাগ উল্লেখ করে যে, ``Before parting with the case, we wish to observe that if there is aû allegation of taking bribe by aû of the petitioners, it may be dealt with either by the concerned Authority, namely BCIC or by the Anti-Corruption Commission, in accordance with law''। রায়ের বিরুদ্ধে বাদী একই বছরের ০৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট এর আপিল বিভাগে ৪১৭/২০২১ নং আপিল দাখিল করে এখনো চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে বাদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মামলাটি আবার নিম্ন আদালতে ফেরত এসে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

ধারণার উপর শোকজ, তদন্ত: কোনরূপ প্রমাণ ছাড়াই মোহাম্মদ জাকির হোসেন অপছন্দনীয় কর্মকর্তাদের শায়েস্তা করতে ও ক্ষমতার প্রতাপ প্রদর্শন করতে খেয়াল খুশিমত শোকজ ও তদন্ত কমিটি করে ভীতি তৈরি করে। ইসলাম ধর্মে রয়েছে, অনুমান আর মিথ্যা একই। তাই অনুমান বা সন্দেহ পোষণ ইসলামে হারাম। ভিত্তিহীন অপবাদ কৌশলে অনেক চৌকষ কর্মকর্তাই বিসিআইসিতে কোনঠাসা। মোহাম্মদ জাকির হোসেনের কর্মকান্ড সম্পর্কে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ যদি অভয় দিয়ে গণশুনানীর আয়োজন করতে পারে তাহলে প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হয়ে এই প্রতিবেদন সার্থক হবে বলে প্রতিবেদন বিশ্বাস করে। বিসিআইসি রক্ষা পাবে এক দানবীয় ক্ষমতার অপব্যবহারকারীর হাত থেকে।

নিয়োগের ইতিহাস: বিসিআইসিতে পরিবারতন্ত্রের কাছে বার বার হেরেছে মেধাবীরা। মোহাম্মদ জাকির হোসেন এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। মোহাম্মদ জাকির হোসেন সরাসরি উপ-ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত। অভিযোগ রয়েছে তার অভিজ্ঞতার সনদও জাল। শুধুমাত্র তৎকালীন কর্মচারী প্রধানের চাচাতো ভাই হওয়ার কারণে পরিবারতন্ত্র যন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় তার চাকুরী হয়েছে।
পেনশন প্রদানে গড়িমসি: বিসিআইসি থেকে অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন প্রদানে গড়িমসি করার অভিযোগ আছে কর্মচারী প্রধান মোহাম্মদ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। কোন সমস্যা না থাকলেও শুধুমাত্র মনগড়া তৈরিকৃত পেনশন ফরম পূরণ করেনি অজুহাতে প্রায় ৮ জন কর্মকর্তার পেনশন ঝুঁলিয়ে রেখেছে মোহাম্মদ জাকির হোসেন। বর্তমান কর্মচারী প্রধান মোহাম্মদ জাকির হোসেন এর চেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম। মোহাম্মদ সেলিম এর অসুস্থতা অজুহাত দেখিয়ে ঢাকা লেদার কোম্পানি (ডিএলসি) নামে একটি বন্ধ কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদায়ন করে রেখেছে। 

এসব অভিযোগের বিষয়ে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন,  ‘আমি কেন দোস শিকার করবো। আমি যা করি তা কর্তৃপক্ষ জানে। আমারও অনেক সাংবাদিক আছে। আপনার যা মন চায় আপনি করেন।’



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]