‘দামে কম মানে ভালো, কাকলী ফার্নিচার’, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছিল বিজ্ঞপনের এই স্লোগান। ইউটিউব, টিক টক, ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে শত শত কন্টেন্ট। দেশে বিদেশে কাকলি ফার্নিচারের নাম শোনেছিল নেটিজেনরা।
আর সেই ভাইরাল হওয়ার কাকলী ফার্নিচারের ছবি, লগো ব্যবহার করে একাধিক ফেসবুক পেজ খুলে সারাদেশব্যাপী প্রতারণা করে আসছে কয়েকটি চক্র। এ ঘটনায় গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
কাকলি ফার্নিচার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দামে কম মানে ভালো কাকলি ফার্নিচারের ভাইরাল ইস্যু কাজে লাগিয়ে আকর্ষণীয় পণ্যে লোভনীয় অফার দিয়ে ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে। ক্রেতারা আকৃষ্ট হয়ে মোবাইলে অর্থনৈতিক লেনদেনে মূল্য পরিশোধ করছেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটে পণ্য সরবরাহের সময়। অসাধু চক্র টাকা বুঝে পেয়ে ফেসবুক আইডি, পেজ ও তাদের দেওয়া মোবাইল নাম্বার থেকে ওই ক্রেতাকে ব্লক করে দেওয়া হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব ক্রেতা প্রকৃত কাকলি ফার্নিচারের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে অভিযোগ করেন। এভাবেই প্রতারক চক্রের অভিনব প্রতারণার বিষয়টি সামনে আসে।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এসএম সোহেল রানা বলেন, প্রতি সপ্তাহে অন্তত আট দশজন প্রতারিত হয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। প্রতারক চক্র গুলো দেশের বাহিরে প্রবাসীদেরও টার্গেট করছে। তিনি বলেন, কাকলি ফার্নিচার আপাতত অনলাইনে কোনো পণ্য বিক্রি করছে না। সাধারণ ক্রেতাদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই। প্রতারকচক্রের বেশ কয়েকটি মোবাইল নাম্বর উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছি।
গাজীপুরের মো. রিপন আহমেদ বলেন, ফেসবুকে কাকলি ফার্নিচারের নামের একটি পেজে চমৎকার অফারে কম মূল্যে পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। সেখানে পণ্য কিনতে অগ্ৰীম ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু টাকা পাওয়ার পর তারা টালবাহানা করতে থাকে। পণ্য দিতে তাগিদ দিলে তারা আমার ফেসবুক আইডি ও মোবাইল নাম্বার ব্লক করে দেয়।
চিটাগাং থাকে শরিফুল নামে একজন জানান, তার কাছ থেকে প্রতারণা করে দশ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আমির হোসেন, খুলনা থেকে রুবেল মিয়া, মালয়েশিয়া প্রবাসী মোকাররম সহ অনেকে জানান, তারা সকলেই এই প্রতারক চক্রের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।