শোকবার্তায় জানানো হয়েছে, ভারতের ওড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আহতদেরও দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
গতকাল শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভয়াবহ এ ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৮৫০ জনেরও বেশি। আজ শনিবার (৩ জুন) দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন বিগত ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনা এটি। খবর এএফপির।
ওড়িষ্যা রাজ্যের মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা নিশ্চিত করেছেন রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) দূরত্বে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পরে প্রায় ৮৫০ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এখন যাত্রীদের উদ্ধার করা। আহতদের স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান কর।’
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, ব্যাঙ্গালুরু থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাচ্ছিল একটি ট্রেন। সেটি লাইনচ্যুত হয়েছিল। তার কয়েকটি বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস নামের অপর ট্রেনের। এটি কলকাতা থেকে চেন্নাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় আর অন্য ট্রেনটির দুটি বগি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে।
দুর্ঘটনার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রেলমন্ত্রী অশ্বিনি বিষ্ণুর সঙ্গে কথা বলেছেন। মোদি এ প্রসঙ্গে এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ওড়িষ্যার ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি বিমর্ষ। এই বিষাদের সময়ে আমার চিন্তা শোকাহত পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং দুর্ঘটনার শিকার লোকজনকে সম্ভাব্য সবধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ রুপি, গুরুতর আহতদের ২ লাখ রুপি এবং কম আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।