গত ২৬ জানুয়ারি নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ওই কমিটিতে সভাপতি করা হয় অস্ত্র ব্যবসায়ী গুম ফেতর সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে। প্রতিবাদে ছাত্রদলের একাংশ দীর্ঘ চারমাস ধরে আন্দোলন করে আসছে। এই আন্দোলনের ব্যাপারে আপোষ না করে খায়রুল কবির খোকন ও জেলার নেতারা উল্টো উস্কানি দিতে থাকে।
এর জের ধরে গত ২৫ মে আন্দোলনরত ছাত্রদল কর্মীরা বিশাল মোটরবাইক বহর বের করে এবং শেষে তারা খায়রুল কবির খোকনের বাসভবন তথা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে খোকনের বাসভবন থেকে গুলিবর্ষণ শুরু হয় এবং গুলি সাদেকুর রহমানের মাথায় ও আশরাফুলের পেটে লাগে এবং তখন খুনি খোকন উপস্থিত সবার সামনে নাহিদকে বলে, আরও ৪/৫ জনকে গুলি করে ফেলে দেও, যা ঐ সময় খুনি খোকনের সাথে উপস্থিত থাকা এক নেতা সাদেকের জানাজার মাঠে সবার সামনে বলেছেন, সাদেক নরসিংদী জেলা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল নেয়ার পথে ও পরদিন সকালে আশরাফুল ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়।
এরপর , সাদেক জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ও হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ার কারণে, সাদেকের পরিবার এবং নরসিংদী জেলা বিএনপি ও জেলা ছাত্রদল ও হাজিপুর ইউনিয়নের জনগণসহ বিভিন্ন কর্মী ও নেতৃবৃন্দ তার এই হত্যার বিচারের দাবিতে, কেন্দ্রীয় বিএনপি'র যুগ্ন মহাসচিব, জেলা বিএনপির সভাপতি খাইরুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা ও নাহিদকে দল থেকে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার জন্য বিচার দাবি করে।
এদিকে, ২৫ মে সাদেক মারা যাওয়ার দিন সন্ধ্যায় নরসিংদী শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এর পরদিন সাদেকের পরিবার নরসিংদী মডেল থানায় খুনি খোকন, শিরীন সুলতানা, নাহিদ ও সাদেক হত্যার সাথে জড়িত ও উপস্থিত, ৩০ জনকে এজহারভুক্ত ও অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
তারপর ৬ দিন পার হয়ে গেলেও দল থেকে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুনি খোকন, শিরীন সুলতানা, নাহিদ ও অন্যান্য আসামীদের বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার না করে উল্টা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রে নাকি, খুনি খোকন শিরিন সুলতানার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি খোকন শিরিনের কাছ থেকে কত টাকা খেয়েছেন? তা না হলে, সাবেক একজন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ছাত্রদলের একজন নেতাকে আপনার দলেরই এক বড় নেতা খুন করল, আপনি খুনি খোকন শিরিন ও নাহিদকে বহিষ্কার ও বিচার না করে উল্টা আপনি খুনিদের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন, আর দোষ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের এটা কোন রাজনীতি? এমনও বলছেন, খোকন, শিরিন বড় নেতা বলে তাদের সাথে মির্জা ফখরুল ইসলাম কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।
এদিকে, তারেক রহমানের ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে খুনি খোকন, শিরিন সুলতানা, নাহিদ ও অন্যান্য আসামীদের বহিষ্কার ও আইনের আওতায় আনার জন্য গত ৩১ মে সাদেকের ক্ষুব্ধ অনুসারীরা, এলাকাবাসী নরসিংদী বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেয়। এ ঘটনায় এখনো নিশ্চুপ কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী দল।
কেনো এখনো দলের হাইকমান্ড থেকে কোনো বক্তব্য আসছে না? তাহলে শিরিন খোকন কি বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শক্তিশালী যার কারণে তার বাড়ি হামলায় করায় তারা ক্ষুব্ধ।