প্রকাশ: শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩, ৭:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদীর রায়পুরায় শাশুড়ীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টায় পুত্রবধূ কারাগারে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাইরমারা ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনার সূত্রপাত।
পুত্রবধূক অনামিকা হাইরমারা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর খানের মেয়ে। তার বিয়ে হয়েছিলো একই ইউনিয়নের মনিপুরা স্কুল সংলগ্ন মামুদপুর এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে কামরুলের সাথে। কামরুল বিয়ের একমাস পর প্রবাসে চলে যায়। তার পর থেকে শুরু হয় তাদের পারিবারিক কলহ। অনামিকার শুশুর বাড়ীর লোকজন জানান, কামরুল বিদেশ যাওয়ার পর অনামিকা গর্ভবতী ছিলো। কিন্তু সে তার পরিবারের পরামর্শক্রমে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। এখবর পেয়ে স্বামী কামরুল ও তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একদিকে বাপের বাড়ীর লোকজনের পরামর্শক্রমে বাচ্চা নষ্ট করা অন্যদিকে কেন বাচ্চা নষ্ট করলো শুশুর বাড়ীর এমন চাপে পুত্রবধু অনামিকা অনেকটা দিশেহারা হয়ে যায়।
স্থানীয়রা আরো জানান, অনামিকা বাড়ীতে থেকে দা'নিয়ে এসে শুশুর বাড়ীতে প্রবেশ করে এবং তার শাশুড়ীর কাছে আলমারি ও বাইকের চাবি চায়। তার শাশুড়ী চাবি দিতে অস্বীকার করলে সাথে সাথে তার শাশুড়ীকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপাইতে থাকে। এতে শাশুড়ী ডাক চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে তার অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপালে ভর্তি করান। পুলিশের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে অনামিকা। উক্ত ঘটনায় রায়পুরা থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
রায়পুরা থানার এসআই রাতুল জানান, এলাকাবাসীর দেয়া খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে অনামিকাকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ প্রহরায় প্রেরণ করেন।
এঘটনায় এলাকাবাসী পুত্রবধূ অনামিকার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।