প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩, ৯:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গত ২৯ মে রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা থানাধীন বেলেজিং ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্টের ডেইরি ফার্মের দেয়াল ভেঙে ১০টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় আন্তঃজেলা চোর চক্রের দল। জামালপুর কিশোরগঞ্জ,ভালুকা,কাপাশিয়া,বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা ২৪ঘন্টা অভিযান চালিয়ে চোরি হওয়া সেই ১০টি গরুর মধ্যে ৭টি গরু উদ্ধারসহ আন্তজেলা চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি)।একই সাথে জব্দ করা হয়েছে চোরাই গরু বহনের কাজে ব্যবহৃত দুটি পিক-আপ গাড়ি।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের জেলা পুলিশ সুপার এসপি মাছুম আহম্মেদ ভুহঞা।
৩১মে বুধবার গভীররাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি’র ওসি সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ প্রথমে ময়মনসিংহের নান্দাইল থানাধীন কানারামপুর এলাকা থেকে গরুচোর দলের মুল হুতা মোঃ রাজীব হোসেন সবুজকে(৩০) গ্রেফতার করে। পরে সবুজের দেয়া তথ্যেমতে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর এলাকা থেকে গরু চোর কাইয়ুমকে(৪২) ৭টি গরুসহ গ্রেফতার করে। গরুচোর সবুজ ও কাইয়ুমের দেয়া তথ্যেমতে একই রাতে অন্য ৩ চোরকেও গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানাধীন চরদিহুনদা নামাপাড়া এলাকার আব্দুল মুন্নাছের ছেলে আন্তজেলা গরু চোর চক্রের মুল হুতা রাজিব হাসান সবুজ। কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানাধীন বালীয়াচর এলাকার বাসীন্দা বিনত আলীর ছেলে দ্বীন ইসলাম (২৮),ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানাধীন গাজীভিটা এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. কাইয়ূম (৪২), গাজিপুর জেলার কাপাসিয়া থানাধীন সুর্য্যনারায়ণপুর এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে নাহিদ হোসেন (২৫) এবং নেত্রকোণার দুর্গাপুর থানাধীন বনগ্রাম গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২২)।
প্রেস বিফিংয়ে জানানো হয় এরা সবাই আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। সংঘবদ্ধভাবে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চুরি সংঘটিত করে আসছে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে।
এর মধ্যে ভালুকার এই গরু চুরির নেতৃত্বদানকারী রাজীব হাসান সবুজ ঘটনার দুইদিন আগে অপর একটি গরু চুরি মামলায় কিশোরগঞ্জ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পায় বলে ব্রিফিংয়ে জানান এসপি মাছুম আহম্মেদ ভূঞা।
এ ঘটনায় গত ৩০ মে ভালুকা মডেল থানায় অজ্ঞাত চোরদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন বেলেজিং ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্টের কেয়ারটেকার মো. আলাল উদ্দিন (৬০)। পরে দ্রুত আসামিদেও গ্রেফতার ও গরু উদ্ধারের লক্ষে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। আরও ৩টি গরু উদ্ধারসহ এ ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা চোর চক্রের পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন ডিবি’র ওসি সফিকুল ইসলাম।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. শামীম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রায়হানুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফাল্গুনি নন্দী, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।