প্রকাশ: শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩, ৭:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ১৫ মে পরপারে পাড়ি জমান বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাইখ্যাত নায়ক ও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ওরফে ফারুক। এতে তারকাদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান ফারুকের দাফন-কাফান হওয়ার আগেই তার আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে চলছে সর্বমহলে সমালোচনার ঝড়।
নায়ক ফারুক মারা যাওয়ার পর দিনই এ নায়কের ঢাকা-১৭ আসনে এমপি নির্বাচনের ঘোষণা দেন সিদ্দিকুর রহমান। শুধু তাই নয়, চলচ্চিত্রের মিয়া ভাইখ্যাত অসুস্থ হওয়ার পর পরই সিদ্দিক এমপি নির্বাচনের ইচ্ছা পোষণ করে নিজেকে জানান দেন।
বৃহস্পতিবার এ বিষয় নিয়ে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে মুখ খুলেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিপজল বলেছেন, মামা (ফারুক) যখন থেকে অসুস্থ, তখন থেকেই তিনি (সিদ্দিকুর) এমপি নির্বাচনের জন্য লাফালাফি আরম্ভ করেছেন। তিনি এমপি নির্বাচন করতেই পারেন। যে কেউ নির্বাচন করতে পারে। উনি (ফারুক) মারা যাওয়ার আগেও লাফালাফি করেছেন। শুধু তাই নয়, উনার লাশ কবরে না নামার আগেই উনি ঘোষণা দিয়ে দিলেন নির্বাচন করবেন। এতে চরম কষ্ট পেয়েছি এবং মনঃক্ষুণ্ন হয়েছি।
তিনি বলেন, নেত্রী যদি পছন্দ করেন উনাকে মনোনয়ন দিতেই পারেন। তবে ওই আসনে অনেক মানুষ আছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আছেন । স্থানীয় অনেক প্রভাবশালীও আছেন।
সিদ্দিকুর রহমানের জন্মস্থান টেনে ডিপজল বলেন, আপনার দেশের (গ্রামের) বাড়ি যেখানে, সেখানে গিয়ে নির্বাচন করেন। সুযোগ পেতেও পারেন। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র গুলশান। এখানে যেই নির্বাচন করুক আশপাশে সবার জানা থাকতে হবে। আপনি এসেই ঘোষণা দিচ্ছেন, নির্বাচন করবেন। এটি ঠিক না। আমিও কিন্তু ওই আসনের ভোটার। অন্তত একটু সময় নিতে পারতে। সমঝোতায় আসতে পারতেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, একটা মানুষকে ইজ্জত দিতে পারতেন। ফারুক যেমন তেমন মানুষ নন। উনি তারকাদের কিংয়ের ওপরে। উনার মৃত্যুর ৭ দিন পর কিংবা ৪০ দিন পর নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে আসতে পারতেন। এত লাফালাফি করাটা আপনার ঠিক হয়নি। না করাটাই আমি বেটার মনে করি। এ ব্যাপারে আমি প্রচণ্ড মনঃক্ষুণ্ন এবং ব্যথিত হয়েছি। মানুষ রঞ্জিত করে, তবে নিজেকে এতটা রঞ্জিত করা আপনার ঠিক হয়নি।