প্রকাশ: শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩, ১০:১২ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ অবশেষে সৌদি আরব সফরে গেলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সৌদির বন্দর নগরী জেদ্দায় পৌঁছান তিনি। সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরুর পর এটাই তাঁর প্রথম সৌদি আরব সফর।
শুক্রবার (২০ মে) বাশার আল–আসাদের আরব লিগের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ১১ বছর আগে এই আঞ্চলিক জোট থেকে সিরিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সম্প্রতি আরব লিগে সিরিয়ার সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই আরব লিগের সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরবে গেলেন তিনি।
২০১১ সালে বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংস দমন-পীড়ন ও পরবর্তী ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদকে দায়ী করা হয়েছিল। এ জন্য সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে লাগাম টানে আরব দেশগুলো। তবে এখন পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। বাশার আল–আসাদের সৌদি আরব সফর সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য বেশির ভাগ আরব দেশের প্রচেষ্টার সর্বশেষ উদাহরণ।
যুদ্ধকালীন সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্রসহায়তা দিয়েছে সৌদি আরব। এমনকি ক্ষমতা থেকে বাশার আল–আসাদকে হটাতে সোচ্চার ছিল দেশটি। এমনকি ২০০০ সালে বাশার আল–আসাদ যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে সৌদি আরবের বিরোধ চলছিল। ২০১২ সালে সৌদি আরব ও সিরিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে।
তবে কয়েক মাস ধরে সিরিয়ায় সংকট নিরসনে আলোচনায় গুরুত্ব দিয়ে আসছে সৌদি আরব। সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়া ও ইরান সব সময় বাশার আল–আসাদের পাশে ছিল। তাঁকে সহায়তা দিয়েছে। এরপরও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির এখনকার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইরান ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কন্নোয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রিয়াদ। এর অংশ হিসেবে সিরিয়া ও ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে সৌদি আরব। ইতিমধ্যে দূতাবাস চালুর ব্যাপারে আলোচনা করেছে সৌদি আরব ও সিরিয়া। বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে শুরু করেছে সৌদি আরব।