উজবেকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সুযোগ আছে: এফবিসিসিআই সভাপতি
উজবেকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
উজবেকিস্তানের উপ-পররাষ্ট্র বাখরোম আলয়েভের নেতৃত্বে উজবেকিস্তান প্রতিনিধিদলের সাথে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উজবেকিস্তানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ও প্রবৃদ্ধির অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, উচ্চ পর্যায়ের সফর এবং অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশই গতি পেয়েছে। ঢাকা-তাসখন্দ সম্পর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দু বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা। টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ান দেশগুলোর আঞ্চলিক প্রবেশদ্বার এবং এশিয়ার দুই জায়ান্ট ভারত ও চীনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সংযোগ হিসেবে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন সভাপতি।
তিনি বলেন, সরকার আধুনিক অবকাঠামোসহ ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, ৩০ টি আইটি পার্ক এবং পর্যটন পার্ক তৈরি করছে। উজবেকিস্তান এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে পারে বলে। এছাড়া পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার, প্লাস্টিক পণ্য, সিরামিক, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি, এফএমসিজি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক শক্তি রয়েছে। উজবেক বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য এবং জেনেরিক ওষুধ আমদানি করতে পারে।
বৈঠকে উজবেক উপমন্ত্রী বাখরোম আলয়েভ বলেন, “বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বিস্তৃত করার সময় এসেছে এখন। পরিবহন ও যোগাযোগ একটি উদ্বেগের বিষয় ছিলো, তবে আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার করার জন্য প্রস্তুত আমরা”।
তিনি এফবিসিসিআইকে উজবেকিস্তানে সফর করার এবং ব্যবসায়িক সম্ভাবনা অন্বেষণের আমন্ত্রণ জানান।
এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী বলেন, আজকের এই আয়োজন বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানকে পারস্পরিক বিনিয়োগে উৎসাহিত করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
হাবিব উল্লাহ ডন এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মোঃ হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালকবৃন্দসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।