প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩, ৮:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শ্রীনগরে আলুর দামে স্থানীয় কৃষক লাভবান হচ্ছেন। এ বছর কাঙ্খিত ফলন না পেলেও আলুর পাইকারী দরে খুশি তারা। পাইকারীভাবে কৃষকের আলুর মণ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১১০০-১১৫০ টাকা করে। তবে এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থার আলুর মূল্য কিছুটা কম বেশী হচ্ছে।
স্থানীয় বাজারে আলুর কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫ টাকা করে। ৩৫ টাকা কেজি দর হিসাবে পাইকারী বাজারে আলুর দাম পড়ছে ১৪০০ টাক প্রতি মণ। তবে এলাকার কোন কোন হাট বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের ৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার প্রায় ২৩০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আলু উৎপাদণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬২ হাজার ৯০০ মেট্রিকটন। কৃষি প্রণোদনার আওতায় আলু ক্ষেতের ১০টি প্রর্দশনী ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বীরতারা, আটপাড়া, তন্তর ও কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িতে কৃষকের গোলার আলু বিক্রি করা হচ্ছে। আলুর মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় পঁচে যাওয়ার শঙ্কায় দ্রুত আলু বিক্রি করা হচ্ছে। লক্ষ্য করা যায়, ট্রাক গুলো পাকা সড়কে রেখে গৃহস্তের বাড়ির থেকে বাইসাইকেলে করে আলুর বস্তা আনা হচ্ছে। বীরতারা এলাকার আমির হোসেন বলেন, আমি কিছুদিন আগে গোলার আলু বিক্রি করেছি। প্রতি মণ আলু ১০৫০ টাকায় বিক্রি করি। এখন আলুর দাম কিছুটা বিদ্ধি পেয়েছে। গত বছর আলু চাষে আমার লোকশান হয়েছে। কুকুটিয়া এলাকার আলম হোসেন বলেন, গত বছরের লোকশানের ভয়ে এবার অল্প পরিসরে আলু চাষ করি। উত্তোলনকৃত আলু সব হিমাগারে রেখে দিয়েছি। এখন আলু কিনতে বেপারীরা যোগাযোগ করছেন। ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আলু পাইকাররা ১৪০০ টাকায় হাকাচ্ছেন। গত বছর ১২ কানি জমিতে (১ কানি ১৪০ শতাংশ) আলু চাষ করে প্রায় ৮ লাখ টাকা লোকশান হয়েছে। এ অঞ্চলে আলুর আশানুরূপ ফলন হয়নি। তবে আলুর বর্তমান বাজার মূল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
আরিফ মোল্লা ও সুজন বেপারী জানান, তারা স্থানীয়দের গোলার আলু কিনে নিচ্ছেন। এ অঞ্চলে গোলার আলু বিক্রি প্রায় শেষের দিকে। হিমাগারের আলুও কেনা হচ্ছে। ভালমানের আলুর মণ কেনাবেচা হচ্ছে ১১০০-১১৫০ টাকা করে। ক্রয়কৃত এসব আলু পাঠাচ্ছি খুলনা, সাভার, কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার ও সাতক্ষিরা অঞ্চলের আলুর আড়তে।