প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩, ১২:২৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে রিটকারি আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে রিটকারির করা আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারি আইনজীবী এম এ আজিজ খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রথম একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। গত ৭ মার্চ দায়ের করা এ রিটে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানান।
এই রিটটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য এলে বিচারপতি আহমেদ সোহেল বিষয়টি শুনতে বিব্রতবোধ করে বিষয়টি প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। পরবর্তীতে রিটটি বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট করেন আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী। গত ১৫ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দুটি রিট সরাসরি খারিজ করে দেন। আদেশের অভিমতে হাইকোর্ট বলেন, ‘রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘দ্য অফিস অব প্রফিট’ ধারণ করেন, কিন্তু এটি প্রজাতন্ত্রের কর্মে একটি লাভজনক (অফিস অব প্রফিট) পদ নয়। রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণের পদ্ধতি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে অন্যদের নিয়োগের মতো নয়। তদুপরি প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের যেসব বিধান ও নিয়ম রয়েছে, সেগুলো রাষ্ট্রপতি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’
প্রসঙ্গত, দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে গত ২৪ এপ্রিল শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন।