প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩, ২:৪০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণের দাম কমাতে সেটিকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব আসতে পারে।
জানা গেছে, এবারের বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যের উৎসে গড় অগ্রিম আয়কর ৫-৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হতে পারে।
এল আগে, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মাংস ও মাংসজাত পণ্যের ওপর অগ্রিম আয়কর কমানোসহ এই পণ্য নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মাংস ও মাংসজাত পণ্যের ওপর অগ্রিম আয়কর কমানোর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। সে কারণে বাজেটে মাংসের অগ্রিম কর কমানোর প্রস্তাবনা আসতে পারে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সই করা এক চিঠি পাঠানো হয়েছে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে। ঐ চিঠিতে বলা হয়েছে, মাংস উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১০-১২ শতাংশ গ্রস মার্জিন দিয়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ফলে মাংস ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ নিট লাভ মার্জিন ১-৩ শতাংশের বেশি হওয়া সম্ভব হয় না। আয়কর অধ্যাদেশ অনুসারে মাংস ও মাংসজাত পণ্য সরবরাহের ওপর সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ পর্যন্ত উৎসে কর কর্তন করা হয়ে থাকে; যা এই খাতের নীট মার্জিনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর বিধি-১৬ এর ৫২ ধারার টেবিল-২- এ চাল, ডাল, গম, ময়দা, চিনি, তেল, আলু, খেজুর, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, পাট, সুতাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন আরোপিত রয়েছে। মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে একই শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী।