স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হলেও তারা চাইলেই সেটি আবার দেওয়া হবে। তবে এ জন্য তাদের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
বুধবার (১৭ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যখন জঙ্গি উত্থান হয়েছিল, সন্ত্রাসের একটা রাজত্ব হয়েছিল তখন চারটি দূতাবাসকে আমরা প্রটেকশন মানে রুট প্রটেকশন দিতাম। এটা কিন্তু লিখিতভাবে আমাদের দেওয়া হয়নি কিংবা তারাও আমাদের অনুরোধ করেনি। আমরাই তাদের দিয়েছিলাম যাতে করে তারা কোনোভাবেই অসুবিধায় না পড়ে। এই চারটির বাইরে আমরা কাউকেই প্রটেকশন দিইনি।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। যেহেতু সেই পরিস্থিতি নেই সে জন্যই এই রুট প্রটেকশনটা আমরা উঠিয়ে নিয়েছি। তারপরও যদি কোনো রাষ্ট্রদূত মনে করেন তাদের প্রয়োজন হবে তাহলে নতুন করে আমরা যে আনসার গার্ড রেজিমেন্ট তৈরি করেছি সেই গার্ড রেজিমেন্টই এ প্রটেকশনের দায়িত্বে থাকবে। এটা অন পেমেন্ট দিতে হবে। তাদের যে খরচ সেই খরচ সেই দূতাবাসকে দিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আমরা তাদের ব্যবস্থা করব।
কোন দূতাবাস এ রকম নিরাপত্তা সুবিধার জন্য আবেদন করেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা তো মাত্র জানালাম। এখন যার যার প্রয়োজন হবে জানাবে।
তিনি বলেন, আমি আবারও বলছি প্রত্যেকটা দূতাবাসেই আমাদের পুলিশের প্রটেকশন রয়েছে তাদের সিকিউরিটির জন্য এবং যে সব রাষ্ট্রদূতের কথা বললাম চারজন তাদের জন্য গানম্যানও রয়েছে। সব ধরনের প্রটেকশন রয়েছে। শুধু আমরা সড়কে যে প্রটেকশন দিতাম, এটা উইথড্রো করেছি। আমার মনে হয় আপনারা ক্লিয়ার হয়েছেন।
যদি তাদের উপর কোনো হামলা হয় বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নের জায়গা সৃষ্টি হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যদি মনে করেন রুট প্রটেকশনটাও তাদের প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে আমাদের সবকিছু রেডি আছে। তারা চাইলেই পেয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী এবং ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য আনসার গার্ড রেজিমেন্ট দেব।