মোখার রেশ কাটতে না কাটতেই সাগরে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় চলছে। অবশ্য মোখা সৃষ্টির সময়ই এই ঘূর্ণির আভাস পেয়েছিল আবহাওয়া ও জলবায়ু পর্যবেক্ষকরা। সাগরের লুঘচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয়ে এরিমধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
নতুন একটি ঘূর্ণিঝড় নাম পেয়েছে ফ্যাবিয়ান। এটি মোখার চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হতে পারে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। হার মানাতে পারে মোখার গতিকেও।
জানা গেছে, চলতি মাসেই এই ঘূর্ণিঝড়টা তীব্র বেগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ফ্যাবিয়েন ঠিক কোন দেশের কোন উপকূলভাগ আছড়ে পড়বে তা জানা যায়নি। তবে ফ্যাবিয়ান থেকে নিরাপদে আছে বাংলাদেশ।
আশঙ্কা দক্ষিণ ভারত বা মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপিন্স এবং ইন্দোনেশিয়াতে প্রভাব বিস্তার করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।
ফ্যাবিয়ানের ল্যান্ডফলের দিনক্ষণ কিংবা সেই মুহূর্তের গতি সম্পর্কেও কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি। কারণ ভারত মহাসাগরের অনেক গভীরে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। ফলে উপকূলে আসতে আসতে অনেকবার দিক বদল করতে পারে সেটি। সেটিই নজরে রাখছে সবাই।
সোমবার, প্রায় ৬৫ কিলোমিটার গতিতে ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছিল, ধীরে ধীরে গতি বাড়াচ্ছে সেটি। মঙ্গলবার ১২০ কিলো, বুধ থেকে শুক্রবারের মধ্যে ফ্যাবিয়েনের গতি পৌঁছবে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটারে।
স্যাটেলাইট ইমেজ বলছে, শুধু ঘূর্ণিঝড় ফ্যাবিয়েন নয়, একের পর এক ঘূর্ণিঝড় কিন্তু অপেক্ষায় রয়েছে। বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে পরবর্তী যে ঘূর্ণিঝড়গুলো তৈরি হবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের দেয়া নাম বিপর্যয়, ভারতের দেয়া তেজ, ইরানের হামুন, মালদ্বীপের মিধালি, মিয়ানমারের মিচাউঙ্গ, ওমানের রিমাল, পাকিস্তানের আসনা, কাতারের ডানা, সৌদির ফিনগাল।
প্রশ্ন উঠছে, এতো কম সময়ের ব্যবধানে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়, কেন? ঘূর্ণিঝড়ের পরিমাণও বেড়েছে অনেক।
বিজ্ঞানীদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়ন আর জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীতে প্রতি প্রতি বছরই একটু একটু করে বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়। আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বন্যার পরিমাণ।