প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০২৩, ১০:১২ পিএম আপডেট: ১৬.০৫.২০২৩ ১০:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘আমি ভেসে আসিনি, একেবারে তৃণমূল পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হয়েছি। রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হয়েছে। হাতকড়া পরানো হয়েছে। ডাণ্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে। রাজপথে সক্রিয় হয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাকশালের পাবনার জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছিলাম।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে নাগরিক সমাজের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা তৈরি দেশের জন্য কখনো মঙ্গলজনক হয় না। রাজনৈতিক হিংসা ভুলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ১৪ বছরের নানা অগ্রগতি ও পূর্বের অবস্থা মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের অসম্প্রদায়িক চেতনা ধ্বংস করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আবার ফিরে এসেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু আমি শক্ত হাতে মোকাবেলা করেছি। আমি ভেসে আসিনি, একেবারে রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি।’
এ সময় আগামী সেপ্টেম্বরে পাবনা থেকে ঢাকা সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে ঘোষণা দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলামের সভাপতিত্বে নাগরিক সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু প্রমুখ।
এদিকে সংবর্ধনায় রাষ্ট্রপতির কাছে পাবনা মেডিক্যাল কলেজকে হাসপাতালে রূপান্তর, পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চালু, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, ঈশ্বরদী সুগার মিল ও ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন বক্তারা।