তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে ৯৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোটগণনা শেষে দেখা গেছে, ৪৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন দুই দশক ধরে প্রেসিডেন্ট থাকা রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
সোমবার (১৫ মে) তুরস্কের সরকারি সংবাদমাধ্যম টিআরটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এবারের নির্বাচন নিয়ে এরদোয়ান বলেছেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে আরেকটি 'গণতান্ত্রিক উৎসব' সম্পন্ন হলো।
দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'এখনো ভোটগণনা চলছে। প্রাথমিক ফলাফলে আমরা অনেক এগিয়ে।'
এরদোয়ান আরও জানান, এখন পর্যন্ত নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন ভোট বেশি পেয়ে তিনি এগিয়ে আছেন। চূড়ান্ত গণনা শেষে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
টিআরটির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিজদারগলু পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ ভোট।
বিবিসির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে ২ সপ্তাহের মধ্যে রান-অফ বা দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হবে।
এরদোয়ান ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিজদারগলুর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় দফার ভোটে জয়ী হওয়ার বিষয়ে ইতোমধ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কিলিজদারগলু।
এপির প্রতিবেদন বলছে, নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ালে সেখানেও জেতার আশা প্রকাশ করেছেন এরদোয়ানও।
তিনি বলেন, 'এখনো আমাদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু যদি ভোট দ্বিতীয় দফায় গড়ায়, সেক্ষেত্রেও আমি জনগণের মতামতকে সম্মান করব।'
'প্রথম দফায় নির্বাচন শেষ হয়েছে কি না, তা আমরা এখনো জানি না... যদি জনগণ দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন চায়, সেটাকেও স্বাগত জানাই', বলেন এরদোয়ান।
এবারের নির্বাচনে ৬৪ দশমিক ১ মিলিয়ন মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলেও টিআরটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন পার্লামেন্টের ৬০০ আসনেরও ভোটগ্রহণ হয়েছে। সেই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পেয়েছে এরদোয়ানের দল একে পার্টির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্স।
৯৮ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোটগণনা শেষে দেখা গেছে, পিপলস অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩২২টি আসন। এর মধ্যে এরদোয়ানের একে পার্টি একাই জয়ী হয়েছে ২৬৬টি আসনে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জয়ী হয়েছে ২১২ আসনে। আর অন্যান্য দল ৬৬ আসনে জয়ী হয়েছে।