প্রকাশ: রোববার, ১৪ মে, ২০২৩, ৪:০৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঘূর্ণিঝড়ে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে এক-দুই দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী গ্যাস পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ওই রকম কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সরে গেছে। আরেকটি রয়েছে। যেটা রয়ে গেছে, সেটি দিয়ে আমরা দুই-তিনদিনের মধ্যে গ্যাস চালু করতে পারব। যেটি খুলে গেছে, সেটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমাদের ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগতে পারে।
তিনি আরও জানান, বিদেশি ডুবুরি আসবে, তারা গিয়ে কাজ করবেন। তবে আমরা মনে করি যে আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা ওই রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শিগগিরই আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারব। আরও এক-দুই দিন সময় লাগতে পারে।
একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সরে যাওয়ায় গ্যাস সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কারণে ৪০০ ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি থাকবে। আমি মনে করি, এখনকার পরিস্থিতি থাকবে না, উন্নতি হবে। তবে কিছু কিছু জায়গায় প্রভাব থাকবে। সেটা খুব বেশি না। গতকাল রাত থেকে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল, এটা কাভার করে আগামী দুই দিনের মধ্যে ভালো অবস্থানে যেতে পারব।
দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল পুরোদমে চালু হতে কতদিন সময় লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুটি চালু হতে সময় লাগবে। একটি চালু হয়ে যাবে। আগামী দুদিনের মধ্যে জাহাজ চলে আসবে, গ্যাস আমরা দিতে পারবো। আরেকটি চালু হতে ১২-১৫ দিন সময় লাগবে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুতে প্রভাব পড়ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রভাবটা থাকবে। কিছু কিছু জায়গায় লোডশেডিং থাকবে, খুব বেশি না। আমার কাছে মনে হয় খুব অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যেটা এখন হয়েছিল, কিছুটা হয়তো আমাদের সমস্যা দেখা গিয়েছিল গতকাল রাত থেকে, এ সমস্যাটা আমরা কাভার করতে পারবো।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমার মনে হয় আগামী দুই দিনের মধ্যে আমরা একটা ভালো অবস্থায় যেতে পারবো। বিদ্যুতের ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারটা এখনো আমার কাছে আসেনি। আসলে হয়তো আমরা জানতে পারবো। আমরা মনিটর করছি। সকাল থেকে আমাদের মনিটরিং চলছে।