প্রকাশ: শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩, ৭:৩৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূণিঝড় মোখা শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলের মানুষ। মোখা মোকাবিলায় সর্তক অবস্থানে থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন।
ইতোমধ্যে জেলায় সাইক্লোন সেল্টার, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৮৮৭টি সাইক্লোন সেন্টার কাম আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে গড়ে উঠা সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলা শ্যামনগরে ১৬৩টি ও আশাশুনি উপজেলার ১০৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে ৮৮৭টি সাইক্লোন সেল্টার কাম আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪ লাখ মানুষের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে।
সাতক্ষীরা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাসেত জানিয়েছেন, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘‘মোখা’’কে সামনে রেখে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে মোট ৮৮৭টি সাইক্লোন সেন্টার কাম আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এছাড়া ৪১৬ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ নগদ টাকা ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫ হাজার সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, উপকূলবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলার ১৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র্র প্রস্তুত করা হয়েছে। শুকনা খাবর, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারের জন্য সিপিবি, রেডক্রিসেন্ট ও উদ্ধারকারী টিমসহ ১৩টি মেডিকেলটিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে, উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনির নদীরক্ষা বাঁধগুলোর সংস্কার কাজ চলমান থাকলেও বেশকিছু অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বেড়িবাঁধ। বিশেষ করে শ্যামনগরের ব-দ্বীপ গাবুরা দৃষ্টিনন্দন এলাকার নদীরক্ষা বাঁধটি কিছুদিন আগে নদীভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া দূর্গাবাটি ও পশ্চিম দূর্গাবাটিসহ কয়েকটি পয়েন্ট খুবই দুর্বল ও ভঙ্গুর অবস্থায় দীর্ঘদিন যাবত পড়ে রয়েছে। এছাড়া আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার পয়েন্টে খুবই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরিভিত্তিতে টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণের জন্য দাবি করেছেন তারা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় সকল ধরনে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক টিমসহ সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে কাজ করছেন।