প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩, ৪:২১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ডলার সংকটে পড়ে দেশ। এসময়ে ডলার সাশ্রয়ের নানা উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবুও রিজার্ভের ওপর চাপ কমছে না। বরং আমদানি বিল পরিশোধে প্রতিনিয়তই রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিশেষত, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করায় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও ১১৮ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার কমেছে। এতে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়নে, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী গণনা করায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ৫ দশমিক ৫ বা সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে বর্তমানে দেশের ব্যবহারযোগ্য মোট রিজার্ভের পরিমাণ হবে ২৪ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। তবে ওই বছরের শেষ দিকে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০১৭ সালের জুনে রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। করোনাকালীন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ছিল। এরপর ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়ে যায়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে আসে। ডলারের দাম নির্ধারণে দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনকে (বাফেদা)। এতেও সংকট কমার পরিবর্তে গত বছরের মার্চ থেকে সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করে। এতে ডলারের মজুতও দ্রুত কমতে থাকে।