রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। কমিটিতে স্থান পেতে বিতর্কিত নেতারা করছেন নানা তদ্ববির। ছুটছে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের দ্বারে দ্বারে। এদিকে রাজপথের পরীক্ষিত ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বির্তকিতরা পদ পদবী পাওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠায় তৃনমূলের কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ ও বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।
এ নিয়ে সোমবার (৮ মে) দুপুরে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিম সরকারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপজেলা ছাত্রলীগের সবশেষ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর। এ সম্মেলনের মাধ্যমে এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। ওই কমিটিতে গোলাম হোসেন শোভন সরকার সভাপতি ও জাহাঙ্গীর আলম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর আগে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৫ সালে। তখন জিয়া উদ্দিন বাবলু সভাপতি ও রেজাউল করিম বাচ্চু সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে শোভন ও জাহাঙ্গীরের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ২০২০ সালের ২৪ই জানুয়ারি কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ। এরপর দীর্ঘ ৩৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটি গঠন করেনি জেলা ছাত্রলীগ। ফলে নেতৃত্বহীন হয়ে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল ও বেহাল হয়ে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী ভ্রাতৃপ্রতিম এ সংগঠনটি।
এদিকে দীর্ঘ সময়েও কমিটি গঠন না করায় নতুন নেতৃত্ব যেমন তৈরি হচ্ছে না, তেমনি এর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও ভেঙে পড়েছে। এরই মধ্যে কমিটিতে পদপ্রত্যাশী অনেক ছাত্রনেতা রাজনীতি থেকেই নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে চান্দাইকোনা হাজী ওয়াজেদ মরিয়ম অর্নাস কলেজ মাঠে উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই ছাত্র সমাবেশের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ কমিটি দেয়ার জন্য বারবার কেন্দ্র ও ছাত্রলীগকে তাগিদ দেন। তবে জেলা ছাত্রলীগের নেতারা বিভিন্ন সময়ে প্রেস কমিটি ও সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত কমিটি গঠন করতে পারেনি। সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা জানতে জানতে পারি যে, এই কমিটিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত, বিতর্কিত, জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত পরিবারের সন্তানদের শীর্ষপদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা এবং জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের পায়তারা চলছে। তাই আমরা ছাত্রলীগের এক মাত্র অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সম্পাদকের দৃষ্টি কামনা করে শহীদ ও ত্যাগী পরিবারের সন্তানদের শীর্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে স্মাট ছাত্রলীগ উপহার দিবেন বলে আশা করি।
এ সময় চান্দাইকোনা হাজী ওয়াজেদ মরিয়ম অর্নাস কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক মিলন সেখ, পাঙ্গাসী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সম্পাদক রাসেদ রায়হান জয়, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সাব্বির আহমেদ স্বাধীন, পাঙ্গাসী অর্নাস কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল আহমেদ, সম্পাদক রাজ কুমার বংশী ও রায়গঞ্জ টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হাসান জীমসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।