নরসিংদীর বেলাবতে লালন আখড়ার সাধুসঙ্গে হামলা চালিয়ে বাদ্যযন্ত্র ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভাংচুর করা এসব বাদ্যযন্ত্রের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এর আগে গতকাল রোববার বেলাব উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের ভাবলা গ্রামে জাহাঙ্গীরের লালন সংগীতের আখড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান সাধুসঙ্গে আসা শিল্পীরা। তবে পুলিশ ও স্থানীয়দের দাবি ওই এলাকার একটি ড্রাগন বাগানে দুই মাতালের ঝগড়ার এক পর্যায়ে গানের কিছু বাদ্যযন্ত্র ভেঙ্গে ফেলার ঘটনা ঘটে।
শিল্পীদের অভিযোগ, রোববার বিকাল আড়াইটার দিকে ওই আখড়ায় সাধুসঙ্গ ও গান-বাজনা চলছিল। এ সময় মাতাল অবস্থায় আখড়ায় ঢুকে স্থানীয় মজনু শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর শেখ। সে আখড়ায় অতিরিক্ত মাতলামী করতে থাকলে আখড়ার লোকেরা তাকে জোড় করে আখড়া থেকে বের করে দেয়ন পরে বাড়িতে গিয়ে জাহাঙ্গীর তাকে মারপিট করেছে এমন অভিযোগ দিলো শাহীন শেখ, জাহাঙ্গীর শেখ, শরীফ শেখ, ফজুলু শেখসহ ৬ থেকে ৭ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এসময় তারা একতারা, ডুগি, হাতবাড়া, খমক, দোতারা, সারিন্দা, তবলা উকুলেলে, গিটার, বাঁশিসহ সব বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করে ও সাধুদের মারধর করে। তাদের মারধরে সাধু রিয়াদ ভূইয়া,মিন্টু ফকির,রকিব ফকিরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
লালন সংগীতকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যই এ হামলা চালানা হয় বলে দাবী করছেন কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লালন শিল্পীরা।
পুলকিত আশ্রম এর প্রতিষ্ঠাতা উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,লালনভক্ত বেলাব বাজারের প্রয়াত ব্যবসায়ী সুমন মিয়ার চলিশা অনুষ্ঠান উপলক্ষে মিলাদ ও ভক্তিমূলক গানের আয়োজন করেছিলাম। হঠাৎ করেই তারা হামলা করে বাদ্যযন্ত্র ভাংচুর ও সাধুদের মারপিট করে।
সাধু রিয়াদ ভূইয়া বলেন,লালন চর্চাকে ধ্বংস করার জন্য তারা হামলা করেছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
পাটুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফরানুল হক ভূঁইয়া জামান বলেন,ঘটনাটি সামাজিক ভাবে বসে মিমাংসা করবো।
বেলাব থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান, এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।