প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩, ৮:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পদ্মা নদীর আরিচা-দৌলতদিয়া নৌরুটে ইঞ্জিনচালিত ট্রালারে দিন-দুপুরে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গরু বিক্রি করে গরু ব্যবসায়ীরা ওই ট্রলারে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ডাকাতরা অন্তত কোটি টাকা লুটে নেয় গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটের অদুরে এ ঘটনা ঘটে।
গরু ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বিভিন্ন স্থান থেকে গরু কিনে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার যোগে মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের আরিচা গরু হাটে গরু গুলো বিক্রি করেন। বিক্রি শেষ করে বেলা ২টার দিকে আরিচা ঘাট থেকে ৭০ থেকে ৭৫ জন গরু ব্যবসায়ী একটি ট্রলারে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বেলা ৩টার দিকে তারা দৌলতদিয়া ঘাটে কাছাকাছি আসলে স্পীডবোড নিয়ে এক দল সশস্ত্র ডাকাতদল তাদের ট্রলারে আক্রমন চালায়।
এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা ট্রলারে উঠে প্রথমে ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে এলাপাথারী মারপিট শুরু করে। এতে ট্রলারে থাকা অন্তত বিশ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে ট্রলারে থাকা গরু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরু বিক্রির
টাকা লুটে নেয়।
ক্ষতিগ্রস্থ গরু ব্যবসায়ী কুদ্দুস বেপারী জানান, ডাকাতদের এলোপাথারী মারপিট করা দেখে প্রাণ ভয়ে আমি আমার কাছে থাকা ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে দেই। ওরা আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার লক্ষীকুল এলাকার গরু ব্যবসায়ী মো. হেলাল উদ্দিন শেখ তাকে মারপিট করে রক্তাক্ত করার বর্ণনা দিয়ে বলেন, আমার কাছে ৬টি গরু বিক্রি করা প্রায় ৭
লাখ টাকা ছিল। এ টাকা ছিল আমার ব্যবসার মূল পূজি। আমি ডাকাতদের টাকা দিতে দেরি করায় তারা আমার উপর মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে আমার সমস্ত টাকা তারা জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ জেএম সিরাজুল কবির জনান, নৌ পুলিশ ঘটনা অবগত হওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতদলকে ধাওয়া করে কাঠালবাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাই। এরপর কাঠালবাড়ি নৌপুলিশও অভিযানে অংশ নেয়। কিন্তু তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযান এখনো অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রলাক চালককে আটক করা হয়েছে।