প্রকাশ: শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গ্রীষ্মের রুক্ষতা ছাপিয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিজের সৌন্দর্য তুলে ধরছে। গাছের ডালপালা জুড়ে শুধুই কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ। এই ফুলের অপরুপ দৃশ্য যে কারও চোখে ও মনে এনে দিতে পারে শিল্পের দ্যোতনা। বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জের জনপথে ও স্থানীয়দের বসত বাড়ির আঙ্গিণায় শোভা পাচ্ছে এসব রক্তলাল ফুল সমৃদ্ধ অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছের। এ যেন এক অপরুপ মনমুগ্ধকর ভালবাসার অনুভুতির ছোঁয়া। আর এসব কৃষ্ণচূড়া ফুলের নিজস্ব সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ফুলপ্রিয় পথিক। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার জৌলুস।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার গাছে থোকায় থোকায় ফুল ফুঁটেছে। সবুজের বুকে শুধুই লালের রাজত্ব। দূর থেকে মনে হয় ময়ূর তার রাঙা পেখম মেলে ধরেছে প্রকৃতির মাঝে। লক্ষ্য করা গেছে, শ্রীনগর-দোহার আঞ্চলিক সড়ক, শ্রীনগর-নাগের হাট সড়ক তন্তর সড়ক, শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ সড়কসহ বিভিন্ন বসতবাড়ির পাশে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ।
কৃষ্ণচূড়া ফুলে ঠাসা গাছের ডালগুলো নিয়ে নুয়ে পড়েছে। আনিকা, রাজন, অসীম, সায়মন, সুজন নামে কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে এসেছি। বহুদূর থেকে কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখা যাচ্ছে। বন্ধুবান্ধব নিয়ে এখানে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে ভালো লাগছে। এই ফুল এত সুন্দর কাছ থেকে না দেখলে এর সৌন্দর্য উপভোগ কার সম্ভব হতনা।
গোয়ালীমান্দ্রা হাটের গাছ বিক্রেতা মো. হোসেন ঢালী নামে এক নার্সারীর মালিক বলৈন, তার নার্সারীতে প্রচুর পরিমানে কৃষ্ণচূরা গাছের চারা রয়েছে। শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দীতে তার একটি নার্সারী আছে। তার ভান্ডারে ১০০-৪০০ টাকা দামের কৃষ্ণচূড়ার চারা গাছ রয়েছে। জেলায় বিভিন্ন স্থানে সাপ্তাহিক হাটে নিজস্ব নার্সারীর ফলজ, বনজ ও ফুল গাছের চারা বিক্রি করছি। তার ছেলে স্বপন ঢালীও লৌহজং উপজেলার হলদিয়া এলাকায় বিশাল নার্সারী গড়ে তুলেছেন জানান তিনি। শ্রীনগর উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা সেলিম হোসেন জানান, কৃষ্ণচূড়া ফুলের জাত মূলত ৩ প্রকার।
বেশীর ভাগ লোক এর নাম কৃষ্ণচূড়া হিসেবে জানলেও এর আরেকটি নাম রয়েছে গুলমোহন। এই নামটি অবশ্য সচারাচর শোনা যায়না। জাত অনুসারে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রংয়ের মধ্যেও কিছুটা ভিন্নতা থাকে। কোনও কোনও ফুলের রং অতি গারলাল ও হালকা লাল আরও হলদে হয়ে থাকে। কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটাকাল থেকে থোকায় থোকায় গাছের ডালে পর্যায়ক্রমে ফুল ফুঁটতে থাকে। সৌন্দর্য বর্ধণে পরিবেশবান্ধব কৃষ্ণচূড়া গাছের পাশাপাশি অন্যান্য গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।