ডা. আশরাফুজ্জামান
প্রকাশ: শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩, ৬:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চিনি আমাদের প্রতিদিনকার খুব প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।বিভিন্ন নাস্তা থেকে শুরু করে মিষ্টান্ন কিংবা চা সব কিছুতেই চিনির প্রয়োজন পরে। চিনি আমাদের অনেকেরই প্রিয়।আমাদের মাঝে অনেকেই চিনি বা মিষ্টি খেতে ভীষণ ভালোবাসেন । কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না স্বাদবর্ধক এই চিনি আমাদের কতটা ক্ষতি করে।চিনির কিছু ক্ষতিকর দিকের জন্য চিনিকে সাদা বিষও বলা হয়।
আমরা যেটাকে সাদা চিনি বলি অর্থাৎ রিফাইনড চিনি সেটা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।চিনি শুধু খেলেই হবে না। কতটুকু চিনি খাব, কোন ধরনের চিনি খাব বা চিনি খাওয়ার পর করণীয় কী- এসব নিয়ে রয়েছে নিয়ম কানুন। সেই নিয়ম কানুনে হেরফর হলে হতে পারে বিপদ।চিনি বা চিনি জাতীয় খাবার বেশী খেলে আমাদের শরীরে ক্যালরি বেশী আসে। আমরা যদি ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম না করি তাহলে শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমা হতে থাকবে। এই অতিরিক্ত ক্যালরি ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ যদি না পায় বা বার্ণ হতে না পেরে জমা হতে থাকে তাহলে ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোলস্টেরল বেড়ে যেতে পারে,অতিরিক্ত চিনি শরীরকে স্থূল বা ফ্যাট করে দেয়,এবং এটা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও বাড়ায় যার ফলে হতে পারে স্ট্রোক।
বাংলাদেশীদের জন্য যে ডায়েটারি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে, তাতে একজন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করা ক্যালোরির মধ্যে ১০ শতাংশ চিনি থাকতে পারে, এর.এর বেশি নয়।যেমন ধরুন, আপনি যদি সারা দিনে ২০০০ ক্যালোরির খাবার খান, তার মধ্যে ৪০ গ্রাম, বা ৮-৯ চা চামচ চিনি খেতে পারবেন।
তবে চিনি যদি খেতেই হয় তাহলে সরাসরি আখ থেকে উৎপাদিত চিনি (লাল চিনি) খাওয়া যেতে পারে।তাতে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।