প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩, ৮:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুরের সখিপুর থানার বেশির ভাগ সড়কের বেহাল দশা,যাত্রী ভোগান্তি চরমে। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে জেলার ভেদরগঞ্জ থেকে কাশেমপুর, কাশেমপুর থেকে সখিপুর সড়কের ৯কিলোমিটা রাস্তা। খানাখন্দে ভরা সড়কগুলোতে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। কোন কোন সড়কে কার্পেটিংয়ের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। ভেঙ্গে পড়েছে উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এলজিইডি’র আওতায় উপজেলা ভেদরগঞ্জ থেকে কাশেমপুর, কাশেমপুর থেকে সখিপুর প্রায় ৯ কিলোমিটার।
তবে এর বাস্তবচিত্র আরো করুণ। প্রায় বেশির ভাগ অংশ সড়ক চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে রয়েছে র্দীঘদিন ধরে। সড়কের কোথাও কোথাও কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ। প্রতিদিন কোন না কোন সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। আর এর মাসুল গুনছেন এ রুটে চলাচলকারীরা।
ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর এলাকার রশিদসহ অনেকের অভিযোগ, সড়কগুলো নির্মাণের সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম আর, কর্মকর্তাদের সঠিক নজরদারী না থাকায় নিম্নমানের মালামাল দিয়ে তৈরি করছে গ্রাম অঞ্চলের বেশীর ভাগ সড়ক। চলাচলের অনুপোযোগী সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাত পা ভেঙ্গে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকে। অধিকাংশ সড়ক নির্মাণের এক বছর পার না হতেই ভেঙ্গে যায়। এতে সরকারের অর্থ ব্যয় বাড়ছে আর, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাভবান হচ্ছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে শরীয়তপুরের এলজিইডির সড়কগুলো চলাচলের উপযুক্ত ও সরকারের বরাদ্দ অনুযায়ী সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সাধারণ মানুষ।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি)অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ভেদেরগঞ্জ থেকে কাশেমপুর, কাশেমপুর থেকে সখিপুর এ সড়ক দুটি প্রায় ৯ কিলোমিটার। দীর্ঘদিন ধরে সড়ক দুটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে রয়েছে আমরা প্রকল্প পাঠিয়েছি, পাশ হয়ে আসলেই, সড়কগুলো উন্নয়ন কাজ করা হবে।