প্রকাশ: রোববার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩, ৭:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চৈত্রের তাপপ্রবাহের পর এবার বৈশাখের তীব্র খরতাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। রবিবার সকাল ৯ টায় ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রী তাপমাত্রা থাকলেও বেলা ১২ টায় তাপমাত্রার পারদ ৪১ ডিগ্রিতে পৌঁছায়। এদিন বেলা ৩ টায় সর্বশেষ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, শনিবার বিকাল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রবিবার বেলা ৩ টায় রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রী। সীমান্তবর্তী জেলায় প্রথম মৃদু তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪ এপ্রিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এরপর ৮ এপ্রিল তাপমাত্রার পারদ বেড়ে মাঝারিতে পৌঁছায়। ১৩ এপ্রিল থেকে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ, এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৫ শতাংশ।
পূর্বের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ডে পরিণত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা। তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় শহরের অলিগলি, গ্রাম-গঞ্জে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে দেয়া হচ্ছে সতর্ক বার্তা। এদিকে, চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও কৃষকরা। তীব্র রোদে মাঠে টিকতে পারছে না কৃষক ও দিনমজুর। রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারছে না রিকশা-ভ্যান চালকরা।
চুয়াডাঙ্গা দামড়–হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম ধান, মিষ্টি কুমড়ো, করলা, হলুদ ও তরমুজ চাষ করেছেন। গত দু’সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহের কারণে এসব জমিতে সেচ দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠেছেন তিনি। তিনি বলেন, দু বেলা শ্যালো মেশিন চালাতে হচ্ছে। আর পারছি না। যে গরম পড়ছে মাঝে মাঝে পানি দিচ্ছি আর গাছ তলায় এসে একটু জিরিয়ে নিচ্ছি।
চুয়াাডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা.সাজ্জাৎ হাসান বলেন, তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোর ও যারা রোজায় থাকছেন না তাদেরকে ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।