প্রকাশ: রোববার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩, ৬:৫৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
একের পর এক মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। আগুন লাগার সময় ও ধরণ নিয়ে প্রশ্ন সব মহলে। এগুলো যে শুধু দুর্ঘটনা মানতে নারাজ অনেকেই। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তিনি এগুলো খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, সঠিক তদন্তের আগে নাশকতার কথা বলতে পারি না। ঘটনাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।
এরইমধ্যে গাজীপুরের মার্কেটে ঈদের আগে দুষ্কৃতিকারীদের পরিকল্পিতভাবে আগুন দেওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। গত ১২ এপ্রিল টঙ্গী বাজারে একটি পাইকারি মার্কেটে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারী চক্র। তবে ভাগ্য ভালো, পাশের দোকানদার টের পেয়ে দ্রুত আগুন নেভায়। ঘটনার পর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় এক বোতল অকটেন, ভাঙা ব্যাটারি ও টিস্যু পেপার।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ১২ এপ্রিল রাতে ৯টা ৫৪ মিনিটে টঙ্গী বাজারের ছফুর মার্কেটে এক যুবককে ব্যাগ হাতে ঘোরাফেরা করছেন। এক সময় রাসেল স্টোরের সামনে প্লাস্টিকের পণ্যের নিচে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। বিষয়টি চোখে পড়লে মার্কেটের দোকানদাররা সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
মার্কেটের দোকানদাররা বলছেন, ঈদের আগে দুষ্কৃতিকারীরা পরিকল্পিতভাবে টঙ্গীর পাইকারি মার্কেটে আগুন লাগানোর চেষ্টা চালিয়েছে। তারা চান নিরাপত্তা।
এদিকে পুলিশ বলছে, ঐ যুবক ও নেপথ্যের কুশীলবদের ধরতে চলছে তদন্ত।
দুষ্কৃতিকারীরা পরিকল্পিতভাবে টঙ্গীর পাইকারি মার্কেটে আগুন লাগানোর চেষ্টা চালিয়েছে জানিয়ে টঙ্গী বাজার সফুর পাইকারি মার্কেটের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ঢাকার বঙ্গবাজার ও নিউ মার্কেটে আগুন লাগছে এতে কত মানুষ পথে বসে গেছে। একটু সচেতনতার জন্য আমরা মার্কেটের আগুন নেভাতে পেরেছি। তা না হলে আমাদের অবস্থাও ওখানকার মতো হতো। এটা স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। দুষ্কৃতিকারীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের মার্কেটে আগুন লাগিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি।
মার্কেটে আগুন দেয়ার চেষ্টার ঘটনায় গোয়েন্দা বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা সদস্যরা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল।
তিন তলা মার্কেটের বিশাল এলাকাজুড়ে প্রায় ৮০০ দোকান রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই কসমেটিকস, প্লাস্টিক ও স্টেশনারির দোকান।