প্রকাশ: রোববার, ২ এপ্রিল, ২০২৩, ৪:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চলছে পবিত্র রমজান মাস। আর এই রমজান মাসের রোজা রাখতে ভোরে সেহরি খাওয়ার জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে অনেকেই রাত জেগে থাকে। ফলে ফজর নামাজ পড়েই ঘুমাতে যেতে হয়।
এছাড়া এ রোজার মাসে দিনের কাজকর্ম এবং অফিস থাকার কারণে এ সময় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার বেশি ঘুমানোও যায় না। অন্যদিকে তারাবি নামাজ পড়ে, রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে অনেকেই বেশ রাত করে ঘুমাতে যান।
এক্ষেত্রে ৭-৮ ঘণ্টার যে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন সেটা আর পূরণ হয় না। ফলে কাজে মনোযোগ দেওয়া যায় না। সমস্যা সমাধানে অসুবিধা হয়। সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া এবং সৃষ্টিশীল কাজে ব্যাঘাত ঘটে। সব মিলিয়ে শারীরিক এবং মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়।
চলুন জেনে তবে নেই যেভাবে রোজায় পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে শরীর সুস্থ রাখা যায়-
> ঘুমের নতুন সময় এবং পরিমাণ ঠিক করা। রোজায় পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঘুমের জন্য একটি নতুন সময় তালিকা করে নিতে পারেন। এই তালিকায় ঘুমের জন্য তিনটি আলাদা আলাদা সময় নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে এবং ঘুম থেকে উঠতে হবে।
> রাতে খাওয়ার পর পর ঘুমানো। তারাবি নামাজ শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। এরপর দু’ঘণ্টার মধ্যে জরুরি কাজ শেষ করে ঘুমাতে যেতে হবে। যদি রাত ১১টার দিকে ঘুমানো যায় তাহলে সাহরি পর্যন্ত ৪ঘণ্টা ঘুম হবে।
> সেহরি খেয়ে ঘুমানো। ফজরের নামাজ পড়ে ভোর ৫টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লে ৭টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা ঘুমানো যায়। ফলে রাতের ৪ ঘণ্টা আর ভোরের ২ ঘণ্টাসহ মোটামুটি ৬ ঘণ্টা ঘুম হবে।