#বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদান সবচেয়ে বেশি: ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। #৭১ এর প্রেতাত্মাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে: উৎপল দাস।
প্রকাশ: রোববার, ২৬ মার্চ, ২০২৩, ১১:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তবরূপ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা
বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন গৌরবদীপ্ত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২৬ শে মার্চ। বঙ্গবন্ধু সেদিন ডাক দিয়েছিলেন একই সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তির। সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল জাতি হিসেবে বাঙালি। বীরের মতো লড়াই করে স্বাধীন ভূখণ্ড অর্জন করেছে। ৭১'র পেতাত্মরা আবারো জেগে উঠেছে। তাদের সেই বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১০১৮তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন গৌরবদীপ্ত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২৬ শে মার্চ। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম 'বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু সেদিন ডাক দিয়েছিলেন একই সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তির। সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল জাতি হিসেবে বাঙালি। বীরের মতো লড়াই করে স্বাধীন ভূখণ্ড অর্জন করেছে। বিশ্ব-মানচিত্রে সার্বভৌম দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে মার্চ এক অনন্য সাধারণ মাস। ১৯৭১ সালের এ মাসেই আমাদের স্বাধীনতার সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছিল বাংলার মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে। এই মার্চেই গণহত্যার ভয়াল স্মৃতি, বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের শুরু। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে অতঃপর বহুল আকাঙ্ক্ষিত সেই স্বাধীনতা এলো ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে। এই স্বাধীনতা সংগ্রামে যত মানুষের অবদান আছে তার মধ্যে আমাদের জাতির পিতার অবদান অবশ্যই সবার উপরে। কারণ নেতৃত্ব, বিশ্বনেতা; হাজারও গুণে গুণান্বিত ছিল আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
উৎপল দাস বলেন, বাঙালি জাতিকে মুক্তির মহামন্ত্রে উজ্জীবিত করে ধাপে ধাপে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ইতিহাসের মহানায়ক, মহাবীর, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে '৪৮-এ বাংলা ভাষার দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পথ বেয়ে '৫২র রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, '৫৪র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ৫৬র সংবিধান প্রণয়ন আন্দোলন, '৫৮র মার্শাল 'ল বিরোধী আন্দোলন, '৬২র শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, *৬৬র বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা আন্দোলন, ৬৮র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা '৬৯র রক্তঝরা গণঅভ্যুত্থান, ৬ দফা ভিত্তিক '৭০র ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' খ্যাত কালজয়ী ঐতিহাসিক ভাষণ ও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন প্রভূত ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি। ৭১'র প্রেতাত্মারা আবারো জেগে উঠেছে। তাদের সেই বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।