প্রকাশ: রোববার, ২৬ মার্চ, ২০২৩, ৯:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মহান স্বাধীনতা দিবসে এবিজি বসুন্ধরার পৃষ্ঠপোষকতায় তিন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স বাংলাদেশ। রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বীর মায়েদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্টের পাশাপাশি শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। একই অনুষ্ঠানে চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ায় সংবর্ধনা দেয়া হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্রিকেটার রকিবুল হাসানকে।
এ সময় ইমদাদুল হক মিলন বলেন, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বিদেশ থেকে ফিরতে না পারায় উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে পেরে আনন্দিত। এ ধরণের মহতি উদ্যোগে যুক্ত করায় বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে এপেক্স বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্ৰুপের স্লোগান ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ যেখানে মানুষের কল্যাণ হবে দেশের কল্যাণ হবে সেখানে বসুন্ধরা গ্ৰুপ হাজির থাকবে এবং থাকে। আজকের অনুষ্ঠান যার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
সংবর্ধনা পাওয়া তিন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হলেন মাগুরার লাইলি বেগম, রাজবাড়ীর নুরজাহান বেগম ও কুষ্টিয়ার দুলজান নেছা। সম্মাননা পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে তাদের। সম্মাননা ও শুভেচ্ছা উপহারের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ ও এপেক্স বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় যুব ও নাগরিকত্ব পরিচালক এপে. মো. আনোয়ার হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি এপে. মো. আবদুল মতিন সিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের -বিজিএমইএ’র সভাপতি হলেন ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন- বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, এপেক্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এপে. মো. আনিসুজ্জামান শাতিল, এপেক্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল সেক্রেটারি এপে. মোহাম্মদ আদিল হায়দার সেলিমসহ বিভিন্ন এপেক্স ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি এপে. এম সায়েম টিপু। এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সভাপতি মো. আবদুল মতিন সিকদার তার বক্তব্যে বলেন, আজ বীর মায়েদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা সম্মানিত। আজকের এ আয়োজনে এবিজি বসুন্ধরার আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক সহযোগিতার কথা এপেক্স বাংলাদেশ আজীবন মনে রাখবে।