প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩, ৪:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে বহিষ্কার করা হলো।
বহিষ্কারের বিষয়ে শওকত মাহমুদ জানান, এখনো বহিষ্কারের বিষয়ে আমি কোনো চিঠি পাইনি। তবে শুনেছি, এটা দুঃখজনক।
এদিকে দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আড়ম্বরপূর্ণ নৈশভোজের মাধ্যমে ১০ বছরের পুরনো সংগঠন ‘জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’ (ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) সক্রিয় করেন ফরহাদ মজহার ও শওকত মাহমুদ। হঠাৎ করেই ইনসাফ কায়েম কমিটি সক্রিয় করার মধ্য দিয়ে আবারও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়। দলের সিনিয়র নেতারাও শওকত মাহমুদের সক্রিয়তার সমালোচনা করেন।
স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য উল্লেখ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তেই শওকত মাহমুদকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের কিছু নেতাকে গভীর নজরদারিতে রেখেছে বিএনপি, শওকত মাহমুদ ছিলেন তাদের অন্যতম।
গত ১৬ মার্চ বনানীর হোটেলে ‘ইনসাফ কমিটি’র ভোজে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা, শিক্ষক ও রাজনীতিক। সেখানে বিএনপির কোনও নেতা উপস্থিত না হলেও দলের ঘনিষ্ট মাহমুদুর রহমান মান্না ও অলি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। আরও কয়েকজন নেতার সেখানে উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তারা ওই ভোজ পরিহার করেন।